মাত্র এক ধাপ বাকি ছিল। তার পরই বিমানবন্দর থেকে বাইরে চলে যেতেন তিনি। কিন্তু তাঁর পথ আটকান রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের (ডিআরআই) কর্তারা। শুরু হয় তল্লাশি। শরীরের বিভিন্ন অংশ এবং জামার মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে কেজি কেজি সোনা! ওজন করে দেখা যায় সোনার পরিমাণ প্রায় ১৪ কেজি! দুবাই থেকে সোনা পাচারের অভিযোগে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হলেন অভিনেত্রী রাম্যা রাও। তাঁর পরিচয় শুধু অভিনেত্রী বলে নয়, রাম্যার বাবা এক জন আইপিএস অফিসার।
কী ভাবে ধরা পড়লেন অভিনেত্রী? বেশ কয়েক দিন ধরেই রাম্যার উপর নজর ছিল গোয়েন্দাদের। গোপন সূত্রে খবর ছিল অভিনেত্রী সোনা পাচারের সঙ্গে যুক্ত। সেই খবর পাওয়া মাত্রই তৎপর হন গোয়েন্দারা। রাম্যার গতিবিধির উপর নজর রেখেছিলেন তাঁরা। গত দু’সপ্তাহে তিনি অন্তত চার বার দুবাই গিয়েছেন। কখনও কখনও সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামীও। গোয়েন্দারা খবর নিয়ে জানতে পারেন, দুবাইয়ে রাম্যার পরিবারের কোনও সদস্য থাকেন না। তা হলে কেন এত ঘন ঘন দুবাই যাচ্ছেন তিনি?
গোয়েন্দারা সেই সন্দেহের কারণে বিমানবন্দরে নজরদারি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ওত পেতে ছিলেন ডিআরআইয়ের কর্তারাও। রাম্যা বিমানবন্দর থেকে বার হওয়ার সময়ই তাঁকে ধরেন তাঁরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে রাম্যা নিজেকে আইপিএসের কন্যা বলে পরিচয় দেন। এমনকি, তাঁর তল্লাশি করতেও বাধা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও গোয়েন্দারা সেই আপত্তি শোনেননি। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় সোনার বার, যা লুকানো ছিল অভিনেত্রীর জামার তলায়, শরীরের বিভিন্ন অংশে।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, রাম্যা এর আগেও দুবাই থেকে সোনা পাচার করেছেন। তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকেও অনেক সোনা উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাঁর থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনার বাজারমূল্য ১৭ কোটির বেশি। তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। এই সোনা পাচার চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত, তা-ও খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন তাঁরা।