Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

কাশ্মীরের চাষিদের পাশে কৃষক সংগঠন

সংগঠনের অভিযোগ, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে এই প্রথম আত্মহত্যার কথা মুখে আনছেন কাশ্মীরি ফল চাষিদের একাংশ।

বরফে ঢাকা পড়েছে আপেল বাগান। —ফাইল চিত্র

বরফে ঢাকা পড়েছে আপেল বাগান। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৩৭
Share: Save:

বিশেষ মর্যাদা লোপের জেরে উপত্যকা কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। তার উপরে অসময়ে হয়েছে তুষারপাত। এই সাঁড়াশি আক্রমণে বিপর্যস্ত কাশ্মীরি ফল চাষিদের সুরাহা দিতে অবিলম্বে ওই সমস্যাকে জাতীয় বিপর্যয়ের তকমা দেওয়ার দাবি তুলল সারা ভারত কিসান সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি।

সংগঠনের অভিযোগ, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে এই প্রথম আত্মহত্যার কথা মুখে আনছেন কাশ্মীরি ফল চাষিদের একাংশ। অথচ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সত্যিই কতখানি, এখনও পর্যন্ত তা মেপে দেখার কাজ শুরুই করেনি সরকার। হিসেব যেটুকু দেওয়া হচ্ছে, তা নেহাতই খাতায়-কলমে। অবিলম্বে এই ছবি বদলানোর চেষ্টা না-করলে, উপত্যকার বহু মানুষের জীবন ও জীবিকা বড় বিপদের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা তাদের।

জয় কিসান আন্দোলনের নেতা যোগেন্দ্র যাদবের কথায়, ‘‘কাশ্মীর বললেই চোখের সামনে পর্যটনের ছবি ভাসে। কিন্তু ফল চাষই উপত্যকার অর্থনীতির মেরুদণ্ড। কিন্তু তাতে জোর ধাক্কা লেগেছে এ বার।’’ যোগেন্দ্র জানিয়েছেন, সাত সদস্যের দলের সদস্য হিসেবে তিনি উপত্যকা ঘুরে দেখেছেন। এই মরসুমে আঙুর, চেরি ইত্যাদি ফল যা হয়েছিল, তার প্রায় ১০০ শতাংশই নষ্ট হয়েছে। উপত্যকা স্তব্ধ থাকায় বাজারে নিয়ে যাওয়া যায়নি। ফোন-নেট বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি ক্রেতাদের সঙ্গে। ফলে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা।

তিনি ছাড়াও সারা ভারত কিসান সভার পি কৃষ্ণপ্রসাদ, সারা ভারত কিসান মহাসভার প্রেম সিংহ গহলৌতেরা বলছেন, ‘‘ভয়াবহ অবস্থা আপেল চাষের। এ বার ফলন ভাল হয়েছিল। কিন্তু প্রথমত স্তব্ধ উপত্যকায় বাজারের মুখ দেখতে পেয়েছে সেই আপেলের ২০-২৫ শতাংশ। তা-ও বেচতে দেরি হওয়ার কারণে মিলেছে কম দাম। অথচ পরিবহণের খরচ গুনতে হয়েছে অনেক বেশি।’’ সব মিলিয়ে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার আপেল ব্যবসার প্রায় ৭০% এ বার জলে গিয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান তাঁদের।

কৃষক সংগঠনটির মতে, আপেল চাষিদের মাথায় আরও বেশি হাত পড়েছে অসময়ের তুষারপাতে। কারণ, একটি আপেল গাছ লাগানোর পরে ১২-১৫ বছর তাকে যত্ন করলে, পরের দু’দশক তা ফল দেয়। কিন্তু সাম্প্রতিক তুষারপাতে ভেঙে গিয়েছে বহু গাছ। ফলে এ বারের ফল তো গেলই, আগামী বছর থেকে কী হবে, তা বুঝতে পারছেন না আপেল চাষিরা।

যোগেন্দ্রদের অভিযোগ, চাষিদের পাশে দাঁড়াতে সরাসরি তাঁদের কাছ থেকে আপেল কেনার কথা বলেছে কেন্দ্র। কিন্তু উপত্যকায় যেখানে মরসুমে ১০-১১ কোটি বাক্স আপেল হয়, সেখানে নাফেড মারফত কেনা হয়েছে ১.৩৬ লক্ষ বাক্স। অর্থাৎ, উৎপাদনের ০.০১%।

অন্য বিষয়গুলি:

Article 370 Apple Kashmir
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy