স্ত্রীর অবৈধ প্রেমের বলি হলেন ধোয়ারবন্দের মানিক রায়। গত কাল রাতে বাড়ির সামনে খুন হয়েছেন তিনি। পুলিশ তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। কাছাড়ের পুলিশ সুপার রজবীর সিংহ জানিয়েছেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তেই এই অবৈধ প্রেমের কথা বেরিয়ে এসেছে। খুনিদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, মানিক রায় হত্যাকাণ্ডে মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ধীরেন্দ্র দেবের স্ত্রী দুলালী দেব, ভাই জিতেন্দ্র দেব, ছেলে লালবাবু দেব ও সঞ্জয় দেব। ধীরেন্দ্রবাবু বা সঞ্চিতা রায়কে পুলিশ আটকে রেখেছে। তবে গ্রেফতার করেনি এখনও।
সঞ্চিতা স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা। তাঁর নয় বছরের এক ছেলে রয়েছে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, কাঠের কাজ করতেন ৫৫ বছরের মানিকবাবু। স্ত্রী সঞ্চিতার বয়স আনুমানিক ৪২। অনেকদিন থেকেই অসম-বয়সী যুবক অজয় দেবের সঙ্গে তার সম্পর্ক। বছর ২৪ বছরের অজয়ের বাড়ি একই পাড়ায়। বেশ ক’বার এ নিয়ে এলাকায় সালিশি সভাও বসে। ক’দিন ঠিকঠাক থাকলেও ফের শুরু হয় গোপন যাওয়া-আসা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, কাল রাতে বাড়ি ফিরে অজয়কে পেয়ে যান মানিকবাবু। তাকে খুব মারধরও করেন। মার খায় সঞ্চিতাও। ছেলের এমন সম্পর্কে সায় না থাকলেও মেরে রক্ত বের করে দেওয়া মেনে নিতে পারেনি অজয়ের বাবা ধীরেন্দ্রবাবু বা তার অন্য ভাইরা। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা ছুটে যায় মানিকবাবুর বাড়িতে। একের পর এক কোপ বসায় তাঁর ঘাড়, মাথা, বুকে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মানিক রায়।
খুনের ঘটনা ধীরেন্দ্রবাবুই অবশ্য পুলিশকে প্রথম জানান। তিনি মানিক রায়কে অভিযুক্ত করে তার ছেলেকে পেটানোর অভিযোগ করেন। এর তদন্তে এসেই মানিকবাবুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ধীরেন্দ্রবাবুকে পাওয়া গেলেও তাঁর ছেলেদের কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। নেই অজয়ও। পুলিশ ধীরেন্দ্রবাবু ও তার স্ত্রীকে আটক করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে মানিক রায়ের স্ত্রী সঞ্চিতাকে। তাঁর বক্তব্য, দল বেঁধে লোকজন আসতে দেখে তিনি প্রাণহানির আশঙ্কায় ছেলেকে নিয়ে সরে পড়েন। এর আগে মানিক তাঁকে বিনা কারণে পিটিয়েছে বলেও তিনি পুলিশকে জানান। পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘এই খুনের ঘটনা কেন, কী ভাবে ঘটেছে, তা মোটামুটি পরিষ্কার। জিজ্ঞাসাবাদে বাকি কথা বেরিয়ে আসবে। দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গেলেও রেহাই পাবে না।’’
করিমগঞ্জে ধৃত দুষ্কৃতী। দোকানকর্মী নারায়ণ পালের অপহরণ-কাণ্ডে অভিযুক্ত হাসান আলিকে গ্রেফতার করা হল। পুলিশ জানায়, আজ জেলাশাসকের কার্য়ালয়ের চত্বর থেকে তাকে ধরা হয়। ধৃত হাসান শিলচরের রাঙ্গিরখাড়ি এলাকার এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার ঘটনাতেও জড়িত ছিল। সে বারও তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃতের বাড়ি করিমগঞ্জ জেলার রাতাবাড়ির ছাগিখাউরি এলাকায়।
কায়স্থগ্রাম এলাকার বাসিন্দা নারায়ণ পাল মাসদু’য়েক আগে অপহৃত হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে আগে কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, অপহৃত নারায়ণবাবুকে দোহালিয়ার জঙ্গলের একটি এলাকায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy