গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
জঙ্গল থেকে উদ্ধার বাক্স খুলতেই মিলল মহিলার টুকরো করে কাটা দেহ। বাক্সের উপরে ‘মুভার্স অ্যান্ড প্যাকার্স’ স্টিকারের সূত্র ধরে সেই মহিলার স্বামী ও তার দুই দাদাকে গ্রেফতার করল দিল্লির পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে মারার পর সাত টুকরো করে কেটে জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিল দিল্লির শাহিনবাগ এলাকার বাসিন্দা সাজিদ আলি আনসারি ওরফে বাবলু। এবং এ কাজে সে তার দুই দাদার সাহায্য নিয়েছিল।
গত ২১ জুলাই ওখলার জঙ্গলে একটি কাঠের বাক্স এবং প্ল্যাস্টিকের প্যাকেটে পাওয়া যায় মহিলার ছিন্নভিন্ন দেহ। দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (দক্ষিণ পূর্ব) চিন্ময় বিসওয়াল জানিয়েছেন, মাথা এবং হাত পাওয়া যায় প্ল্যাস্টিকের প্যাকেটে। দেহের বাকি অংশ মেলে ‘মুভার্স অ্যান্ড প্যাকার্স’ স্টিকার আটকানো কাঠের বাক্সে। মহিলার মাথা এমনভাবে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছিল যে তাঁকে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছিল না। কিন্তু সেই স্টিকারের সূত্র ধরে পুলিশ পৌঁছোয় সংস্থার গুরুগ্রামের দফতরে।
জানা যায়, শাহিনবাগে জাভেদ নামে এক ব্যক্তির কথা। জাভেদ জানায়, শাহিনবাগেই সে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়েছিল সাজিদ আলি আনসারির দাদাকে আলমকে। সেই ফ্ল্যাটেই বাক্সটি রাখা ছিল। এরপর গ্রেফতার করা হয় সাজিদ এবং তার দুই ভাইকে।
আরও পড়ুন: কাজে, বেতনে নারী-বৈষম্য বেশি ভারতে, বলছে সমীক্ষা
আরও পড়ুন: ‘কুকুর চাপা দিয়েছি’, স্ত্রীকে বলেন মেজর
জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, ২০১৪ সালে বিহারের জুহিকে বিয়ে করেছিল বছর ২৬-এর সাজিদ। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করলেও তেমন কোনও চাকরি করত না সাজিদ। স্ত্রীর সঙ্গে তার অশান্তি লেগেই থাকত। এর উপর সম্প্রতি বিবাহ বহির্ভূত সস্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কথা সাজিদ স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের। জেরায় সাজিদ নাকিব লেছে, জুহিকে শ্বাসরোধ করে মারার পর সে তার দুই দাদাকে ডেকেছিল। জুহির দেহ টুকরো টুকরো করে কাটার পর বাক্স এবং প্লাস্টিকের ব্যাগে করে তারা দেহ ফেলে এসেছিল ওখলার জঙ্গলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy