কৈশোরে পা পড়তেই মা বন্ধ করে দিলেন স্কুলে যাওয়া। শুরু হল মেয়েকে পাত্রস্থ করার উদ্যোগ। কিন্তু বেঁকে বসল কিশোরী নিজে। বিয়ে সে করবে না, বাড়িতেই চালিয়ে যাবে পড়াশোনা। পরবর্তী কালে তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন লেখাপড়াকে হাতিয়ার করে সমাজের বুকে কত ভাবে স্থাপন করা যায় মাইলফলক। দেবদাসীকন্যা বলে সমাজ একঘরে করেছিল তাঁদের। কিন্তু তিনি আলো জ্বেলেছিলেন সমাজের অসংখ্য অন্ধকার ঘরে। তিনি মুথুলক্ষ্মী রেড্ডি।
বাংলায় যে বছর কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় তৎকালীন বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডিগ্রি লাভ করলেন, সে বছর অর্থাৎ ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুলাই, আজকের তামিলনাড়ুর তৎকালীন এক নেটিভ স্টেট পুড়ুকোট্টাইতে জন্ম মুথুলক্ষ্মীর। তাঁর বাবা এস নারায়ণস্বামী আইয়ার ছিলেন মহারাজাস কলেজের অধ্যক্ষ। মা চন্দ্রাম্মাল ছিলেন মন্দিরের প্রাক্তন দেবদাসী। তাঁকে বিয়ে করার জন্য রক্ষণশীল সমাজ একঘরে করেছিল নারায়ণস্বামীকে।