Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Arvind Kejriwal

মোদী সরকারের অর্ডিন্যান্স রুখতে কেজরীওয়ালের পাশে স্ট্যালিন, শুক্রে বৈঠক হেমন্তের সঙ্গে

দিল্লি সরকারের আমলাতন্ত্রের উপরে নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্ট অরবিন্দ কেজরীওয়ালের পক্ষে রায় দিয়েছিল। তা খারিজ করে নরেন্দ্র মোদী সরকার অর্ডিন্যান্স জারি করে।

DMK will oppose Central ordinance on control of administrative services in Delhi, Tamil Nadu CM M K Stalin says, after meeting with Arvind Kejriwal

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে সভাপতি এমকে স্ট্যালিন। ছবি: পিটিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
চেন্নাই শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৩ ২১:৫৫
Share: Save:

দিল্লিতে ‘ক্ষমতা দখলের’ জন্য নরেন্দ্র মোদী সরকারের জারি করা বিতর্কিত অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের পাশে দাঁড়ালেন এমকে স্ট্যালিন। বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ে কেজরী এবং পঞ্জাবের ‘আপ’ মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের সঙ্গে বৈঠকের পরে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান জানান, ‘অগণতান্ত্রিক’ ওই অর্ডিন্যান্সকে ‘আইনের’ রূপ দিতে মোদী সরকার সংসদে বিল আনলে তাঁর দল বিরোধিতা করবে।

অর্ডিন্যান্স বিরোধী লড়াইয়ে স্ট্যালিনের সমর্থনের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেজরী। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে দেখা করে সমর্থন চাইব।’’ প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের সঙ্গে অর্ডিন্যান্স-সংঘাতে দিল্লির আপ সরকারের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানাতে গত মাসের শেষ পর্ব থেকে বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করে চলেছেন কেজরীওয়াল। গত ২৩ মে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, দিল্লির মন্ত্রী অতিশী এবং আপ সাংসদ রাঘব চড্ডাকে সঙ্গে নিয়ে নবান্নে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেছিলেন তিনি।

এর পর ২৪ মে মুম্বইয়ে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছিলেন শিবসেনা (বালাসাহেব) নেতা উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে। ২৫ মে মুম্বইতেই এনসিপি সভাপতি শরদ পওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। শরদের সঙ্গে বৈঠকের পরে কেজরী জানিয়েছিলেন, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চাইবেন তিনি। পরের দিনই আপ প্রধান জানান, কংগ্রেসের দুই নেতার কাছে সাক্ষাতের সময় চেয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। গত শনিবার (২৭ মে) হায়দরাবাদে গিয়ে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-র প্রতিষ্ঠাতা কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সমর্থন চান কেজরী। মমতা থেকে স্ট্যালিন পর্যন্ত বিরোধী শিবিরের সব নেতাই তাঁকে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন।

বুধবার একে গোপালন ভবনে সীতারাম ইয়েচুরি, বৃন্দা কারাটের সঙ্গে বৈঠকের পরে সমর্থনের আশ্বাস মিলেছে সিপিএমের তরফেও। যদিও আপের ডাকে কংগ্রেস কতটা সাড়া দেবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দলের অন্দরের খবর, এ বিষয়ে দিল্লি এবং পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের অবস্থান জানতে চায় হাইকমান্ড। কারণ ওই দুই রাজ্যেই আপের সঙ্গে লড়াই কংগ্রেসের। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, কেজরীর এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, গত এক দশক ধরে সন্তর্পণে বিজেপি এবং কংগ্রেসের থেকে সমদূরত্ব বজায় রেখেছেন তিনি। এ বার আপ-প্রধান ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে অবস্থান বদলানোর বার্তা দিতে চেয়েছেন বলেও মনে করছেন তাঁরা।

গত ১১ মে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছিল, আমলাদের রদবদল থেকে যাবতীয় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে শুধুমাত্র দিল্লির নির্বাচিত সরকারের। কিন্তু শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ অর্ডিন্যান্স এনে ১০ পাতার গেজ়েট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কেন্দ্র। তাতে বলা হয়, জাতীয় রাজধানী সিভিল সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষ গঠন করা হচ্ছে। আমলাদের নিয়োগ এবং বদলির ব্যাপারে তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন। (দিল্লির) মুখ্যমন্ত্রী হবেন এর চেয়ারপার্সন। কিন্তু কমিশনে কেন্দ্র এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নরের প্রতিনিধি সংখ্যা বেশি থাকায় তাঁরাই কার্যত ‘নির্ণায়ক’ হবেন আমলাদের বদলি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ তুলে সব বিরোধী দলকে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন কেজরী।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy