সংখ্যাতত্ত্বের মূল বিষয় হল বিভিন্ন সংখ্যার পাঠোদ্ধার করা। সংখ্যাতত্ত্বে ১ থেকে ৯ পর্যন্ত প্রত্যেকটি সংখ্যাকে এক একটি গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। এই ১-৯ সংখ্যার উপর ভিত্তি করে, অর্থাৎ ন’টি গ্রহের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়।
সংখ্যাতত্ত্বে দুটি সংখ্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জন্মদিনের সমাহারের সংখ্যা এবং নামের সংখ্যা। কোনও ব্যক্তির জন্মদিনের সংখ্যা যোগ করে একক সংখ্যায় পরিবর্তন করলে যে সংখ্যা পাওয়া যায়, সেই সংখ্যা যে গ্রহ নির্দেশ করে, নির্দিষ্ট ব্যক্তির জীবনে সেই গ্রহ বিশেষ প্রভাব দান করে।
আরও পড়ুন:
ইংরেজির প্রতিটি বর্ণের নির্দিষ্ট সংখ্যা আছে, যেমন এ= ১, বি= ২, আই= ৯, জে= ১, কে = ২, এস= ১, জ়েড= ৮ ইত্যাদি। নির্দিষ্ট ব্যক্তির পদবি-সহ নামের প্রত্যেক বর্ণ (ইংরেজি) সংখ্যায় পরিবর্তন করতে হবে এবং প্রাপ্ত প্রত্যেক সংখ্যা যোগ করে এক সংখ্যায় পরিবর্তন করতে হবে। এই পদ্ধতিতে যে সংখ্যা পাওয়া যায়, সেটি যে গ্রহ নির্দেশ করে, নির্দিষ্ট ব্যক্তির জীবনে সেই গ্রহও বিশেষ প্রভাব দান করে।
জ্যোতিষ এবং সংখ্যাতত্ত্বে গ্রহদের দুইটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়, শুভ গ্রহ এবং অশুভ গ্রহ। জন্মদিনের সমাহারের সংখ্যা এবং নামের সমাহারের সংখ্যা যে যে গ্রহ নির্দেশ করে, তারা যদি একই শ্রেণির গ্রহ না হয় সে ক্ষেত্রে জীবনে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। বিদ্যা, কর্ম বা পেশায় এবং জীবনের বিভিন্ন দিকে বাধাপ্রাপ্ত হতে হয়। এর ফলে জীবনে আসে অসফলতা। এই সমস্যা খুবই সাধারণ। সংখ্যাতত্ত্বে এর প্রতিকার সম্বন্ধেও বলা রয়েছে।
আরও পড়ুন:
জন্মদিনের সংখ্যার পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। সেই ক্ষেত্রে পরিবর্তন করতে হবে নামের। নাম পরিবর্তনে যদি সমস্যা হয়, সে ক্ষেত্রে নামের বানানের পরিবর্তন করে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু বিষয়টা কেবল সংখ্যাতত্ত্বে সীমাবদ্ধ নয়। এটি জ্যোতিষ এবং সংখ্যাতত্ত্ব, উভয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। সুতরাং এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে জ্যোতিষ, বাস্তু এবং সংখ্যাতত্ত্বের জ্ঞান সম্পন্ন জ্যোতিষীর সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।