আলিঙ্গন: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপ এরদোগানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী। সোমবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: এএফপি
আমেরিকার পরে তুরস্ক। ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরে রিচেপ তাইপ এরদোগান। কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে তুরস্কের প্রসিডেন্ট এরদোগানের মধ্যস্থতার প্রস্তাব তৈরি করল নয়া বিতর্ক। এই মুহূর্তে দু’দিনের ভারত সফরে এসেছেন এরদোগান। নিজের দেশে বিতর্কিত গণভোটে জয়ের পরে এই প্রথম বিদেশ সফরে বেরিয়েছেন তিনি। আর সেই সফরের একেবারে গোড়ায় ভারতে পা রাখার আগে একটি নিউজ চ্যানেলকে এরদোগান বলেছেন, ‘‘কাশ্মীরে আর রক্তপাত হতে দেওয়া যাবে না। বহুস্তরীয় আলোচনার মাধ্যমে এর স্থায়ী সমাধানে আমরা আলোচনায় অংশ নিতেই পারি।’’ একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, তুরস্ক পাকিস্তানেরও মিত্র দেশ। তাই তিনি কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতায় আগ্রহী।
স্বাভাবিক ভাবেই এরদোগানের কাশ্মীরে মধ্যস্থতার প্রস্তাব ছায়া ফেলেছে তাঁর ভারত সফরে। ভারত এই প্রস্তাব কার্যত খারিজ করে দিয়েছে। প্রকাশ্যে অবশ্য ভারত এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ সূত্রের বক্তব্য, এর আগে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে আমেরিকার মধ্যস্থতার প্রস্তাব ভারত সরাসরি খারিজ করে দিয়েছিল। দিল্লির বক্তব্য, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কাশ্মীরের যে অংশ পাকিস্তান দখল করে রেখেছে, তা মুক্ত করার জন্য ভারত ইসলামাবাদের সঙ্গেই আলোচনা করবে। এ নিয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা চায় না দিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকও এরগোদানের মন্তব্যকে কোনও রকম গুরুত্ব দিতে নারাজ।
আরও খবর: কাশ্মীরে পাঁচ পুলিশ খুন করে ৫০ লক্ষ লুঠ করল জঙ্গিরা
অস্বস্তির এই কাঁটা আড়াল করেই এ দিন এরদোগানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দু’দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করার নানা বিষয় নিয়ে সেই বৈঠক কথা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর অফিস সূত্রে বলা হয়েছে। সন্ত্রাসদমন নিয়ে কথা হয়েছে দু’জনে। এ বিষয়ে দুই দেশ হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে। আর্থিক সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়টিও বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy