দূষিত দিল্লির ছবি বদলালো না আজও। দিনভর দিল্লিতে ভাসমান ক্ষতিকর পদার্থের মাত্রা ছিল সাধারণের চেয়ে অনেক বেশি। কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন দুপুরের পরে রাজধানীর বায়ুর মানে উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করলেও সন্ধ্যার পর থেকেই ফিরে আসে ধোঁয়াশার আস্তরণ। অস্বস্তি বাড়িয়ে একাধিক বিদেশি দূতাবাস তাদের নাগরিকদের সাময়িক ভাবে দূষণ জর্জরিত দিল্লিকে এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
এই অবস্থায় অবিলম্বে দিল্লিতে ট্রাকের প্রবেশ বন্ধের সুপারিশ করেছে বিভিন্ন মহল। ট্রাকগুলি দিল্লিতে না ঢুকে যাতে সরাসরি পঞ্জাব বা উত্তরপ্রদেশে যেতে পারে, সেজন্য ইস্টার্ন পেরিফেরাল বাইপাস নির্মাণের কাজ চলেছে। যা শেষ হবে ২০১৮-য়। তত দিন দূষণ বাড়লেই দিল্লির বাইরে ট্রাক থামানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
আজ সকালে জোড়-বিজোড় নীতি নিয়ে জাতীয় আদালতের তোপের মুখে পড়ে কেজরীবাল সরকার। আপ নেতৃত্ব চাইলেও এতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পরিবেশ আদালত। আবেদন খতিয়ে দেখার শুনানিতে দিল্লি সরকারের আইনজীবী অনুপস্থিত দেখে রেগে যান পরিবেশ আদালতের বিচারকেরা। পর্যবেক্ষণে তাঁরা জানান, দিল্লি সরকার কি আদৌও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত? নাকি স্রেফ প্রচারের জন্য আবেদন করা হয়েছে। পরে আদালতকে দিল্লি সরকার মহিলা ও বাইক আরোহীদের ছাড় নিয়ে জানায়, ‘‘দূষণ কমাতে গিয়ে মহিলাদের নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকার ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। দ্বিতীয়ত, এমনিতেই বাস-মেট্রোয় যাত্রীদের চাপ প্রচণ্ড। বাড়তি ৩২ লক্ষ বাইক আরোহী বাস বা মেট্রোয় চড়লে দিল্লির পরিবহণব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়বে।’’
আগামী দু’দিন পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে আশা কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দীপঙ্কর সাহার। তিনি বলেন, ‘‘বাতাসে ক্ষতিকর ভাসমান কণার ঘনত্ব খুব বেশি থাকলেও বুধবার দিল্লিতে বৃষ্টি হলে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’’ দূষণ না কমলে চোখ, গলা জ্বালা, কাশির মতো উপসর্গ কমবে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এ দিকে দিল্লির দূষণ নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর নীরবতাকে কটাক্ষ করে আজ রাহুলের টুইট, ‘‘সিনে মে জ্বলন, আঁখো মে তুফান সা কিউ হ্যায়, ইস শহরমে হর শখ্স পরেশান সা কিউ হ্যায়? ক্যায়া বাতায়েঙ্গে সাহেব, সব জানকর অঞ্জান কিউ হ্যায়?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy