Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
National News

৩১ বছর আগের হাশিমপুরা গণহত্যায় অভিযুক্ত ১৬ জওয়ানের যাবজ্জীবন

বিচারপতি এস মুরলীধর ও বিচারপতি বিনোদ গোয়েলকে নিয়ে গড়া দিল্লি হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন তিস হাজারি বিশেষ শুনানি আদালতের সেই রায় খারিজ করে দিল।

হাশিমপুরা গণহত্যাকাণ্ডের সেই দিন। ছবি- সেই সময়ের সংবাদপত্র থেকে সংগৃহীত।

হাশিমপুরা গণহত্যাকাণ্ডের সেই দিন। ছবি- সেই সময়ের সংবাদপত্র থেকে সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:৫৯
Share: Save:

৩১ বছর আগে হাশিমপুরা গণহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত প্রভিন্সিয়াল আর্মড কনস্ট্যাবুলারি (পিএসি)-র ১৬ জন জওয়ানকে বুধবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল দিল্লি হাইকোর্ট। এর আগে উত্তরপ্রদেশের তিস হাজারি বিশেষ শুনানি আদালত অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করে দিয়েছিল।

বিচারপতি এস মুরলীধর ও বিচারপতি বিনোদ গোয়েলকে নিয়ে গড়া দিল্লি হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন তিস হাজারি বিশেষ শুনানি আদালতের সেই রায় খারিজ করে দিল। রায় দিতে গিয়ে দুই বিচারপতি বলেছেন, ‘‘মেরঠ শহরের হাশিমপুরায় বেছে বেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরস্ত্র ৪২ জনকে গুলি করে মারা হয়েছিল। নিহতদের পরিবারগুলি ৩১ বছর পর যথাযথ বিচার পেল।’’

হাশিমপুরা গণহত্যার মামলায় উত্তরপ্রদেশের তিস হাজারি বিশেষ শুনানি আদালত পিএসি-র অভিযুক্ত জওয়ানদের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে ১৬ জন জওয়ানকে বেকসুর খালাস করে দেয়। ওই সময় শুনানি আদালতের বক্তব্য ছিল, পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবেই অভিযুক্ত জওয়ানদের বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হল।

আরও পড়ুন- বিশ্বের উচ্চতম! সর্দার বল্লভভাই পটেলের মূর্তি উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী​

আরও পড়ুন- সিবিআইয়ের কাজ কি লাটে? প্রশ্ন আদালতের​

গত সপ্তাহে তিস হাজারি বিশেষ শুনানি আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে যায় উত্তরপ্রদেশ সরকার। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সঙ্গী হয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও। হাশিমপুরা গণহত্যাকাণ্ডে তদানীন্তন স্বরাষ্ট্র-প্রতিমন্ত্রী পালানিয়াপ্পন চিদাম্বরমের ভূমিকা নিয়ে ফের তদন্তের যে আর্জি জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী, গত ৬ সেপ্টেম্বর দিল্লি হাইকোর্ট তার ওপর রায় স্থগিত রেখেছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE