এক প্রৌঢ়াকে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল দায়রা আদালত। সম্প্রতি সেই অভিযোগ থেকে দিল্লি হাইকোর্ট তাঁকে মুক্তি দিয়েছিল। তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ায় মঙ্গলবার তার ব্যাখ্যা দিল আদালত।
এ দিন হাইকোর্ট জানায়, ওই প্রৌঢ়ার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সে রাতে মদ্যপ ছিলেন তিনি। আচেই লাল নামের ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর আগ্রাসী যৌন সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। কিন্তু তা যে অসম্মতির ভিত্তিতে ঘটেছিল, এমনটা নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ষাটোর্ধ্ব ওই প্রৌঢ়ার মেনোপজ হয়ে গিয়েছিল। আগ্রাসী যৌনতা অথবা অতিরিক্ত মদ্যপান, ঠিক কোনটি তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী, তা-ও ময়নাতদন্তে স্পষ্ট নয়। কিন্তু আচেইয়ের দিক থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ধর্ষণ বা খুনের উদ্দেশ্য প্রমাণ হয়নি। তিনি যা করেছেন, জেনেবুঝে ক্ষতি করার জন্য করেননি। তাই তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হল।
ষাটোর্ধ্ব ওই প্রৌঢ়াকে ‘মা’ বলে ডাকতেন আচেই লাল। ২০১০ সালে সেই মহিলাকেই ধর্ষণ এবং খুন করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। বছরখানেক মামলা চলার পরে ওই ব্যক্তিকে ধর্ষণ এবং খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিল দায়রা আদালত। কিন্তু ৩১ অক্টোবর হাইকোর্টে তিনি মুক্তি পান। তবে সেই সঙ্গে হাইকোর্ট তার রায়ে ঠিক কী বলতে চেয়েছে, তাই নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়। কোথাও কোথাও দাবি করা হচ্ছিল, আদালত নাকি বলেছে যে মেনোপজ হয়ে যাওয়া মহিলার সঙ্গে বলপূর্বক যৌন সংসর্গ করলে তা ধর্ষণ বলে গ্রাহ্য হবে না। এ দিন হাইকোর্ট নিজের অবস্থান পুনরায় ব্যাখ্যা করে সেই বিতর্কে ইতি টেনে দিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy