মনসুখ হিরেনের ‘রহস্যমৃত্যু’র পর তাঁকে ঘিরে নানা তত্ত্ব সামনে এসেছে। (ডান-দিকে) মুকেশ অম্বানীর বাড়ির অদূরে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক ভর্তি পরিত্যক্ত গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত।
‘রহস্যমৃত্যু’র দিন কয়েক আগেই পুলিশ তথা সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন। তা নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকার থেকে শুরু করে মুম্বই পুলিশের কাছে চিঠি লিখে আইনি সাহায্যও চেয়েছিলেন। মুকেশ অম্বানীর বাড়ির অদূরে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক ভর্তি পরিত্যক্ত গাড়ির ‘মালিক’ মনসুখ হিরেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরের দিন শনিবার এমন তথ্যই প্রকাশ্যে এল।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২ মার্চে লেখা একটি চিঠিতে পুলিশ আধিকারিক তথা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছিলেন মনসুখ। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ এবং মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংহকে সে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি।
শুক্রবার মুম্বইয়ের অদূরে একটি খাঁড়ি থেকে ৪৫ বছর বয়সি মনসুখের দেহ উদ্ধার হয়। মানসুখের ‘রহস্যমৃত্যু’র পর তাঁকে ঘিরে নানা তত্ত্ব সামনে এসেছে। ঠাণে পুলিশের দাবি, খাঁড়িতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মনসুখ। তবে ঠিক কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অন্য দিকে যে পরিত্যক্ত গাড়ির নিয়ে খবরের শিরোনামে মনসুখ, সেই গাড়ির মালিকানা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতেই নিজের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান মুম্বই শহরতলি বিখরোলির বাসিন্দা মনসুখ। পরের দিন কালওয়া খাঁড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। শনিবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন বাহিনী (অ্যান্টি টেরোরিজম স্কোয়াড বা এটিএস)-কে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। যদিও গোটা ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি করেছেন বিরোধী দলের নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীস।
মুম্বইয়ে মুকেশের ২৭ তলা বাড়ি ‘অ্যান্টিলা’-র অদূরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০টি জিলেটিন স্টিক ভর্তি স্করপিও এসইউভি (স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল) উদ্ধার হয়েছিল। সেই গাড়ির ভিতরে কয়েকটি নম্বর প্লেট এবং মুকেশের উদ্দেশে হুমকি দেওয়া চিঠিও পাওয়া গিয়েছিল। তবে প্রথম থেকেই ওই ঘটনা নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। এক দিকে যেমন ওই এসইউভি গাড়ির মালিকের পরিচয় নিয়ে মতভেদ দেখা দিয়েছে, অন্য দিকে মুকেশকে কে বা কারা চিঠিতে হুমকি দিল, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। জইশ-উল-হিন্দ নামে একটি সংগঠন চিঠি লিখেছিল বলে দাবি করেও পরে তা অস্বীকার করে। পাশাপাশি, প্রথম দিকে তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, ওই গাড়ির মালিক মনসুখ। তবে শনিবার মহারাষ্ট্র সরকারের দাবি, মনসুখ নন, ওই গাড়ির মালিক আসলে স্যাম মুতেব নামে এক ব্যক্তি। গাড়ির যন্ত্রাংশের ডিলার মনসুখ তাঁর গাড়ির অন্দরসজ্জা করেছিলেন। তবে স্যামের কাছ থেকে তার পারিশ্রমিক না পেয়ে গাড়িটি নিজের কাছে রেখে দেন তিনি। যদিও ওই গাড়িটি চুরি হয়ে যায় বলে তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মনসুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy