Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
National news

কুয়োয় নামার সাজা, দলিত নাবালকদের নগ্ন করে ঘোরানো হল গ্রামে

বড় একটি গাছের পাতা দিয়ে লজ্জা আড়ালের চেষ্টা করেছিল এক নাবালক। সেই অপরাধে তাকে মারা হয়েছে বেল্ট দিয়ে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৮ ১১:১৬
Share: Save:

অপরাধটা নাকি মারাত্মক! উচ্চবর্ণের লোকজন গ্রামের যে পাতকুয়ো ব্যবহার করেন, সেখানে তিন দলিত নাবালক নেমেছিল স্নানের জন্য। শাস্তিও মিলেছে হাতেনাতে। প্রথমে বেদম মার, তারপর নগ্ন করে তিন জনকেই ঘোরানো হয়েছে গোটা গ্রামে। স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও দেশ যে ধর্ম-বর্ণের বিভাজন রেখা ডিঙিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেনি, তারই যেন প্রমাণ হয়ে রইল মহারাষ্ট্রের জলগাঁও।

গরুর ছাল ছাড়ানোর অপরাধে গুজরাতের উনায় জনা কয়েক দলিত যুবককে মারধরের দৃশ্য ভাইরাল হয়েছিল ২০১৬ সালে। অনেকেই কিন্তু জলগাঁওয়ে দলিত নির্যাতনের সঙ্গে উনাকাণ্ডের মিল খুঁজে পাচ্ছেন।

ঠিক কী হয়েছিল জলগাওঁয়ে? জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে ১০জুন। প্রবল গরমের হাত থেকে সাময়িক রেহাই পাওয়ার জন্য ১২ থেকে ১৪ বছরের তিন কিশোর নেমেছিল গ্রামের বিশাল এক কুয়োয়, সাঁতার কাটার জন্য। খবর পেয়েই সেখানে হাজির হয়ে যায় উচ্চবর্ণের লোকজন। তিন নাবালককে জল থেকে টেনে তোলার পর অকথ্য মারধর, নির্যাতন। এর পর জামাকাপড় খুলিয়ে ঘোরানো হয় গোটা গ্রামে। মোবাইল ক্যমেরায় তোলা যে ছবি পুলিশের হাতে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, বড় একটি গাছের পাতা দিয়ে লজ্জা আড়ালের চেষ্টা করেছিল এক নাবালক। সেই অপরাধে তাকে মারা হয়েছে বেল্ট দিয়ে।

আরও পড়ুন: বেঁচে থাকার ‘চ্যালেঞ্জ’ হেরে গেলেন বুখারি

আরও পড়ুন: কাশ্মীরে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হল জওয়ানকে

ভয়ে, আতঙ্কে প্রথম দিকে ঘটনাটি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল নির্যাতিতদের পরিবার। শেষ পর্ষন্ত জানাজানি হয়ে যাওয়ায় তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার, নগ্ন নির্যাতনের ঘটনায় গ্রামের একটা বড় অংশ যুক্ত থাকলেও, এখনও পর্যন্ত মাত্র দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের দাবি, সমস্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে প্রয়োগ করা হোক তফশিলি জাতি-উপজাতি নির্যাতন প্রতিরোধী আইন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE