সুনন্দা পুষ্কর এবং শশী তারুর। ফাইল চিত্র।
স্ত্রী সুনন্দা পুষ্করের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে কংগ্রেস নেতা শশী তারুরকে। আগামী ৭ জুলাই তাঁকে কোর্টে হাজির থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির এক আদালত।
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে দিল্লির একটি পাঁচতারা হোটেলে সুনন্দাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। গত মাসেই দিল্লি পুলিশ যে ৩০০০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দিয়েছে, তাতে অভিযুক্ত হিসেবে একমাত্র শশীর নামই রাখা হয়েছে। স্ত্রীর সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার আদালত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা চার্জশিটের কথা তুলে বলেছে, শশীর বিরুদ্ধে মামলা চালানোর ভিত্তি রয়েছে। কংগ্রেস নেতা এ দিন যদিও যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
মৃত্যুর কিছু দিন আগে সুনন্দা যে সব ইমেল করেছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ পাঠিয়েছেন, সেগুলিকেও আদালতের সামনে রেখেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, মৃত্যুর ঠিক ৯ দিন আগে স্বামীকে ইমেল করে ৫১ বছর বয়সি সুনন্দা লিখেছিলেন, ‘‘বেঁচে থাকার ইচ্ছে নেই। মৃত্যুর জন্যই শুধু প্রার্থনা করছি।’’ চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, সুনন্দার জীবনে হতাশা নেমে এলেও স্বামী হিসেবে শশী স্ত্রীকে শুধু অবহেলাই করে গিয়েছেন। তাঁরা নিয়মিত ঝগড়াঝাঁটি করতেন। এ ছাড়া, সুনন্দার শরীরে আঘাতের চিহ্ন গুরুতর না হলেও তা স্থায়ী ভাবেই থেকে গিয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, সুনন্দার মৃত্যুর আগে শশী তাঁর ফোন কেটে দিতেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সুনন্দা স্বামীর কাছে পৌঁছতে চেয়েছিলেন। কিন্তু গুরুত্ব দেননি শশী।
মৃত্যুর দু’দিন আগে সুনন্দা সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেন, এক পাকিস্তানি সাংবাদিকের সঙ্গে তাঁর স্বামীর সম্পর্ক রয়েছে। তার কিছু দিন আগে তিরুঅনন্তপুরম থেকে আসা একটি বিমানে এবং দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁদের ঝগড়া করতে দেখা গিয়েছিল বলেই তদন্তকারীদের দাবি।
পুলিশ প্রথমে বলেছিল, শরীরে বিষক্রিয়া ঘটিয়ে সুনন্দাকে খুন করা হয়েছে। ২০১৫ সালে করা সেই খুনের মামলায় যদিও অভিযুক্ত হিসেবে কারও নাম রাখা হয়নি। তবে পুলিশের এখনকার বক্তব্য, খুনের প্রমাণ নেই। সুনন্দাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল। পুলিশের এই বয়ান বদল নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নিশানা করেছিল কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy