Coronavirus in India: Gurugram man Vishal Singh set up a covid care facility for people dgtl
COVID 19
Covid 19: করোনা আক্রান্ত বাবার চিকিৎসায় হিমশিম খেয়ে আবাসনেই মিনি হাসপাতাল তৈরি করলেন ইনি
করোনা আক্রান্ত ৮০ বছরের বৃদ্ধ বাবার জন্য কিছু করতে পারছিলেন না কোটিপতি ছেলে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২১ ১২:৩৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
করোনা আক্রান্ত ৮০ বছরের বৃদ্ধ বাবার জন্য কিছু করতে পারছিলেন না কোটিপতি ছেলে। না ব্যবস্থা করতে পারছিলেন হাসপাতালের শয্যার, না পাচ্ছিলেন কোনও অক্সিজেন সিলিন্ডার।
০২১২
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে বেশি টাকা দিতে রাজি হলেও সাহায্যের জন্য পাশে কাউকেই পাওয়া যায়নি। বাবাকে বাঁচাতে শেষে বাড়ির একটি ঘরকেই হাসপাতাল বানিয়ে ফেললেন তিনি।
০৩১২
ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন তাঁর বাবা। বাবার মতো রোগীদের জন্য এবং নিজের মতো পরিবারের অসহায় মানুষগুলোর কথা ভেবে তাই নিজের আবাসনেই ওষুধ, অক্সিজেন, শয্যা-সহ সমস্ত সুবিধা নিয়ে তৈরি করে ফেললেন কোভিড কেন্দ্র।
০৪১২
তিনি গুরুগ্রামের সেক্টর ২৮-এর বাসিন্দা বিশাল সিংহ। ৪৭ বছরের বিশাল বিত্তবান মানুষ। দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশের একাধিক স্কুলের মালিক তিনি। যথেষ্ট প্রভাবশালীও। তা সত্ত্বেও বাবার জন্য কিছু ব্যবস্থা করে উঠতে পারছিলেন না।
০৫১২
সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাই নিজের আবাসনের সমস্ত সদস্যের জন্য কোভিড কেন্দ্র গড়ে তুলতে উদ্যোগী হন তিনি।
০৬১২
কিন্তু রোগীদের জন্য শয্যা, নার্স, ওষুধ এবং অক্সিজেনের জোগান— এ সমস্ত করাটা মুখের কথা ছিল না। অনেকগুলো টাকারও প্রয়োজন ছিল। তাই প্রথমেই আবাসনের সমস্ত পরিবারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন। কিন্তু বেশির ভাগই টাকার কথা শুনে পিছিয়ে যান।
০৭১২
শেষে নিজেই গাঁটের ২০ লাখ টাকা খরচ করে কোভিড কেন্দ্রটি গড়ে তুলেছেন। অতিমারির শুরু থেকেই অকেজো হয়ে পড়ে থাকা আবাসনের ক্লাবহাউসে সমস্ত ব্যবস্থা করে ফেলেন।
০৮১২
দূরত্ব বজায় রেখে ৫টি শয্যা এবং প্রতি শয্যার সঙ্গে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেন তিনি। রোগীদের দেখভালের জন্য দু’জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স এবং তিন জন আলাদা কর্মী নিয়োগ করা হয় সেখানে। নার্সরা যেমন রোগীদের দেখভাল করবেন, তেমন অক্সিজেন থেকে ওষুধ কেনার জন্য বাকি তিন জন অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
০৯১২
এ ছাড়া পিপিই কিট, পাল্স অক্সিমিটার, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর এগুলোও রয়েছেই। দু’জন নার্সকেই প্রতি দিন ৪ হাজার টাকা করে পারিশ্রমিক দেন তিনি।
১০১২
আবাসনে ২০০ মানুষ থাকেন। তাঁদের মধ্যে ৬০ জন এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত। সকলকে এই পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই আক্রান্তদের মধ্যে যাঁদের অক্সিজেনের মাত্রা ৯০-এর নীচে নামছে তাঁদেরই একমাত্র এই কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে।
১১১২
মাত্র ৫টি শয্যা থাকায় ৫ জন করোনা আক্রান্ত পরিষেবা পাবেন। তাঁদের মধ্যে যাঁর অক্সিজেনের মাত্রা ৯০-এর উপরে উঠে যায় তাঁদের ফের নিজের বাড়িতে নিভৃতবাসে পাঠানো হয়। সেই জায়গায় অন্য এক রোগী ওই পরিষেবা পান।
১২১২
ওই আবাসনে থাকা চিকিৎসকদেরও পাশে পেয়েছেন বিশাল। রোগীকে কখন কী ওষুধ দেওয়া হবে তা দিনরাত দেখছেন তাঁরা।