হাসপাতালের বাইরে ফুটপাতে কোভিড-১৯ রোগীরা। ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
চিকিৎসার জন্য করোনা আক্রান্ত ৬৯জন রোগীকে আনা হয়েছিল উত্তর প্রদেশের ইটাবা জেলার একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু আসার পর হাসপাতালে কোথায় তাঁদের রাখা হবে তা নিয়ে শুরু হয় গড়মসি। যার জেরে প্রায় ঘণ্টাখানেক ওই রোগীদের বসে থাকতে হয়েছে হাসপাতালের গেটের বাইরে ফুটপাতে। বৃহস্পতিবার সকালের এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
জানা গিয়েছে, কোভিড-১৯এ আক্রান্ত ওই ৬৯ জন রোগীকে বাসে করে আনা হয় আগ্রা থেকে। ১১৬ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে সকালেই তাঁরা পৌঁছে যান ইটাবা শহরের কাছে সাইফাইয়ের উত্তরপ্রদেশ ইউনিভার্সিটি অব মেডিক্যাল সায়েন্সে। কিন্তু সেখানে পৌঁছে হাসপাতালে জায়গা পেতে সময় লেগে যায় ঘণ্টাখানেকেরও বেশি।
ওই ঘটনার যে সব মোবাইল ভিডিয়ো ছড়িয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, হাসাপাতালের গেটের বাইরে ফুটপাতে বসে আছেন তাঁরা। সকলেই তাঁরা পরে রয়েছেন মুখাবরণী। অন্য একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ওই এলাকার দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসার চন্দ্রপাল সিংহ কিছুটা দূর থেকে তাঁদের উদ্দেশে বলছেন, ‘‘এখানে বসো। খুব তাড়াতাড়ি মেডিক্যাল দল এসে তালিকা তৈরি করে তোমাদের নিয়ে যাবে। তোমরা হঠাৎ চলে এসেছ। তোমাদের আসার কোনও খবর ছিল না। বসে থাকো, ঘুরে বেড়ানোর চেষ্টা করো না।’’
আরও পড়ুন: শুধু মুম্বইতেই আক্রান্ত ৪৫৮৯, দেশে আক্রান্ত বেড়ে সাড়ে ২৪ হাজার
গাফিলতির কথা মেনে নিয়েছেন ওই মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজ কুমার। তবে এই ঘটনায় হাসপাতালের কোনও কর্মীর গাফিলতি নেই বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি বলতে পারব না, কার গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটেছে। কোনও রোগীদের ভর্তি করার সময় বেশ কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে যেতে হয়। তার পর রোগীদের ভিতরে ঢোকানো হয়। ওই রোগীদের আগের দিন(বুধবার) আসার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে না এসে পরের দিন এসেছেন তাঁরা। এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও তথ্য ছিল না। তবুও আমার দল তাঁদের যত দ্রুত সম্ভব ভর্তি করিয়েছে। তাঁরা বাইরে ঘুরছিলেন কি না, সে ব্যাপারে আমি জানি না। আমার পক্ষে সেটা বলা সম্ভব নয়।’’
আরও পড়ুন: মন ভাল রাখুন, মোদীর শ্রমিক-দাওয়াইয়ে বিতর্ক
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy