Advertisement
E-Paper

ব্রিটেনফেরত যাত্রীদের খোঁজ নিচ্ছে কর্নাটক দিল্লি, তেলঙ্গানা

চেন্নাই বিমানবন্দরে ব্রিটেন থেকে আসা এক যাত্রীর কোভিড পজিটিভ ধরা পড়েছে। ফলে আতঙ্ক আরও ছড়িয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২০ ১৪:১৫
Share
Save

দেশে করোনার সংক্রমণ একটু একটু করে কমলেও এখনও আশঙ্কা দূর হয়নি। টিকা আনার জোরদার প্রস্তুতি চালাচ্ছে বিভিন্ন টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলো। তাতে কিছুটা হলেও আশা জেগেছে মানুষের মধ্যে। কিন্তু ব্রিটেনে করোনার নতুন প্রজাতি ধরা পড়ায় উদ্বেগ যেন এক ধাক্কায় হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, এই নতুন প্রজাতি আগের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। নতুন এই প্রজাতির কোড নাম বি.১.১.৭। ব্রিটিশ সরকার ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে যে, নতুন এই প্রজাতির কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে।

ব্রিটেনে করোনার নতুন প্রজাতি পাওয়ার পরই উদ্বেগ ছড়িয়েছে ভারতে। সেই সঙ্গে জল্পনাও শুরু হয়ে গিয়েছে, যে সব টিকা বাজারে আসছে নতুন এই স্ট্রেনকে কি প্রতিরোধ করতে পারবে? যদিও সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন দাবি করেছেন, উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। সরকার যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে। কিন্তু তার পরেও যেন আতঙ্ক দূর হচ্ছে না।

সোমবারই কেন্দ্র ব্রিটেন থেকে আগত যাত্রিবাহী বিমানের উড়ান আপাতত স্থগিত করার কথা ঘোষণা করেছে। বুধবার থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। সেই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চেন্নাই বিমানবন্দরে ব্রিটেন থেকে আসা এক যাত্রীর কোভিড পজিটিভ ধরা পড়েছে। ফলে আতঙ্ক আরও ছড়িয়েছে। ওই যাত্রী দিল্লি হয়ে চেন্নাই বিমানবন্দরে নেমেছিলেন। ওই যাত্রীর নমুনা সংগ্রহ করে পুণেতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পরীক্ষা করে দেখা হবে, তাঁর দেহে ধরা পড়া ভাইরাসটি করোনার নতুন স্ট্রেন কিনা।

অন্য দিকে, দিল্লি সরকার মঙ্গলবার জানিয়েছে, প্রত্যেক ঘরে ঘুরে দেখা হবে কোন কোন ব্যক্তি গত দু’সপ্তাহের মধ্যে ব্রিটেন থেকে ফিরেছেন। খোঁজ পেলে সেই সব ব্যক্তিদের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হবে তাঁদের দেহে করোনার নতুন স্ট্রেন আছে কিনা। গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ব্রিটেন থেকে ফেরা যাত্রীদের তালিকা তৈরি করতে শুরু করেছে তেলঙ্গানা এবং কর্নাটক।

করোনার নতুন স্ট্রেনের খবর প্রকাশ্যে আসতেই ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের জন্য কোয়রান্টিনের জন্য নতুন নিয়ম জারি করেছে মহারাষ্ট্র। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ওই দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিন কোনও কোয়রান্টিন কেন্দ্রে থাকতে হবে। সামনে বড় দিন এবং নতুন বছর। এই দু’টি সময়ে উৎসবে মেতে ওঠেন সকলে। তাই এই সময়ে সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য আগে থেকেই রাতে কার্ফু জারি করেছে মহারাষ্ট্র। সোমবার থেকে তা বলবৎ হয়েছে, থাকবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। রাত ১১টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত এই কার্ফু জারি থাকবে।

Coronavirus New Strain

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}