কলেজের স্টেট এডেড কলেজ টিচার (স্যাক্ট) এবং অতিথি শিক্ষকেরা সেখানকার স্নাতকোত্তর ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেও তাঁদের খাতা দেখতে পারবেন না। এই সংক্রান্ত ‘সিএসআর’ সংশোধন করতে চলেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার স্যাক্টদের সংগঠন কুটাব-এর সঙ্গে অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে-র বৈঠকের পরে কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বিষয়ে শান্তা জানিয়েছেন, সম্প্রতি প্রকাশিত বিধিতে তিন এবং চার নম্বর পয়েন্ট বাতিল করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের বিধিতে উল্লেখ করা আছে, শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণ সময়ের শিক্ষক এবং অতিথি শিক্ষকেরা স্নাতকোত্তর পরীক্ষার প্রশ্ন করবেন ও খাতা দেখবেন। তাই এই দু’টি পয়েন্ট অর্থহীন। ওই দু’টি পয়েন্ট বাদ দিয়েই নতুন বিধি প্রকাশ করা হবে। গত ৪ মার্চ রেজিস্ট্রার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিলেন, বিজ্ঞানের স্নাতকোত্তর বোর্ড অব স্টাডিজ়ের (পিজিবিওএস) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কলেজের স্যাক্ট ও অতিথি শিক্ষকেরা স্নাতকোত্তরে খাতা দেখতে পারবেন না। পরীক্ষক চূড়ান্ত করবে সংশ্লিষ্ট পিজিবিওএস-ই। প্রশ্ন কারা করবেন এবং মডারেটরও তারাই ঠিক করবে। স্যাক্ট এবং কলেজের অতিথি শিক্ষকেরা পরীক্ষক হতে পারবেন না।
এ দিকে, সিন্ডিকেটে যথাযথ ভাবে কলেজ সংক্রান্ত বিষয়ের আলোচনা করা সম্ভব হচ্ছে না, এই অভিযোগে সেখানকার সদস্যপদ থেকে এখনও পর্যন্ত তিন জন কলেজ-অধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছেন। তাঁরা হলেন—ক্যানিংয়ের বঙ্কিম সর্দার কলেজের তিলক চট্টোপাধ্যায়, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন কলেজের সুনন্দা গোয়েন্কা এবং বাগবাজার উইমেন্স কলেজের অনুপমা চৌধুরী। তবে ধ্রুবচাঁদ কলেজের অধ্যক্ষ সত্যব্রত সাহু ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তিনি এখনও ইস্তফা দেননি।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)