জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির বৈঠক ডাকলেন জেলা সভাপতি সতু রায়।
কংগ্রেসের যে সব পরিষদ সদস্য করিমগঞ্জ জেলা পরিষদ ভাঙার পক্ষে রয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতেই ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। আগামী শনিবার ওই বৈঠক করা হবে।
গত কাল করিমগঞ্জের আবর্ত ভবনে বিধায়ক এবং সদ্য প্রাক্তন বিধায়কদের আলোচনার পর ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলা সভাপতি। জেলা পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে কংগ্রেসের ১০ জন সদস্য স্বাক্ষর করেছিলেন। কিন্তু দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ওই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্ব ওই সব দলীয় নেতাদের জানিয়েছিল, বিভিন্ন ব্যর্থতার অভিযোগে জর্জরিত ইউডিএফ নেতৃত্বাধীন জেলা পরিষদ কোনও ভাবেই ভেঙে ফেলার পক্ষপাতী নয় দল। তা নিয়ে ফের কংগ্রেসের পরিষদ সদস্যদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও করিমগঞ্জ জেলা পরিষদের ১০ জন কংগ্রেস সদস্য জেলা কংগ্রেসকে এ বিষয়ে কিছু জানাননি। এতে ক্ষুব্ধ জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব।
জেলা কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য, দলীয় মনোনয়ন পেতে প্রার্থীরা অনেক ভাবে চাপ সৃষ্টি করেন। টিকিট দেওয়ার পর তাঁদের জেতাতে দলীয় নেতৃত্বও পরিশ্রম করেন। দলের তরফ থেকে নির্বাচনী প্রচারের খরচের একাংশও দেওয়া হয়। কিন্তু ভোটে জেতার পর অনেকে দলের স্বার্থের পরিপন্থী কাজ করেন। করিমগঞ্জ জেলা পরিষদের কংগ্রেস সদস্যদের কাছে অনাস্থার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাতে তাঁরা আমল দেননি। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ছাড়া উপায় নেই। জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির বৈঠকে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy