এমন পোস্টার নিয়েই হয় বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই
আবারও এক বিপর্যয়। এবং ফের ‘প্রিয়ঙ্কা লাও’ স্লোগান কংগ্রেসের সদর দরজায়!
মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবির ছবি স্পষ্ট হতেই আজ কংগ্রেস দফতরের সামনে হাজির হন দলের কয়েকশো সমর্থক। অধিকাংশই মহিলা। সনিয়া-কন্যার ছবি-সহ পোস্টার হাতে তাঁরা স্লোগান তুললেন, ‘প্রিয়ঙ্কা লাও দেশ বাঁচাও’। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ২৪ আকবর রোডের গেট আগলে তাঁরা নির্দ্বিধায় এ-ও জানিয়ে দিলেন, “প্রিয়ঙ্কা গাঁধী প্রচারে নামলে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় এই বিপর্যয় হত না।”
আইএনটিইউসি-র মাঝারি এক নেতা জগদীশ শর্মা ও তাঁর নেতৃত্বে কিছু কর্মীর এই দাবি শুনেই যে প্রিয়ঙ্কা সংগঠনের দায়িত্ব নিতে চলে আসবেন এমনটা নয়। কিন্তু ঘটনা হল, কংগ্রেসের অন্দরে একটা বড় অংশ প্রিয়ঙ্কাকে সংগঠনের দায়িত্বে আনার জন্য সক্রিয়। তাঁদের মতে, রাহুলকে শীর্ষস্তর থেকে না সরিয়েই এটা করা যেতে পারে। এবং প্রিয়ঙ্কা কংগ্রেসের হাল ধরলে অন্তত দেশ জুড়ে নিচুতলার কর্মীরা মনোবল ফিরে পাবেন। কারণ, আম আদমির সঙ্গে রাজনৈতিক যোগস্থাপনের ক্ষমতা রাহুলের থেকে প্রিয়ঙ্কার ঢের বেশি। এই বিষয়ে রাহুলের সিদ্ধান্ত যে অনেক সময়েই ভুল হয় তার নজির হিসেবে আজকের ঘটনাকেই তুলে ধরছেন কংগ্রেসের ওই নেতারা। আজ হুদহুদ বিধ্বস্ত বিশাখাপত্তনমে গিয়েছিলেন রাহুল। বিপর্যয়ের পরে দীর্ঘক্ষণ তাঁর কোনও বিবৃতি প্রকাশিত হয়নি। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ করার সুযোগ পায় বিজেপি। পরে সন্ধ্যায় বিবৃতি দিয়ে মানুষের রায় মেনে নেওয়ার কথা বলেন রাহুল।
দলীয় সমর্থকদের প্রিয়ঙ্কা লাওয়ের দাবিতে একজোট করতে ও হাইকম্যান্ডের ওপর চাপ বাড়াতে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী সুধাকর রাও এবং কংগ্রেস নেতা অংশুমান রাও একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছেন।
কিন্তু মুশকিল হল, প্রিয়ঙ্কা নিজেই এখনও সম্মতি জানাননি। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁকে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে যা বেরোচ্ছে তা পুরোপুরি কাল্পনিক। এর কোনও ভিত্তি নেই। প্রিয়ঙ্কা ঠারেঠারে এ-ও বুঝিয়ে দেন, কংগ্রেসে এমন অনেক নেতা রয়েছেন যাঁরা আসলে রাহুলের নেতৃত্বকে দুর্বল করতে সচেষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy