মার্গারেট আলভা
সংসদের অধিবেশনের মুখে কংগ্রেস নেত্রী মার্গারেট আলভার বই নিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়লেন সনিয়া গাঁধী।
গত অধিবেশনের সময়েই কপ্টার-দুর্নীতি নিয়ে গাঁধী পরিবারকে অনেকটা কোণঠাসা করতে পেরেছিল সরকার পক্ষ। এ বারের অধিবেশনের ঠিক মুখে সেই কপ্টার-দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ক্রিশ্চিয়ান মিশেলের বাবার সঙ্গে গাঁধী পরিবারের যোগাযোগের কথা লিখলেন আলভা— তাঁর নতুন বই ‘কারেজ অ্যান্ড কমিটমেন্ট’-এ। শুধু তা-ই নয়, আলভা লিখেছেন, দিল্লি হাইকোর্ট রাজীব গাঁধীর বফর্স-যোগ খারিজ করার পরেও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাও তা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তা নিয়ে সনিয়ার সঙ্গে রাওয়ের সম্পর্কের অবনতি হয়। সনিয়া নাকি সেই সময়ে আলভাকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘রাও কি আমাকে জেলে পাঠাতে চান?’’ যদিও বিভিন্ন সময়ে সনিয়ার আচরণ নিয়েও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে বইয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আলভা।
স্বাভাবিক ভাবেই সংসদের অধিবেশনের মুখে দলের এমন ‘হাঁড়ির খবর’ ফাঁস হওয়ায় তুলকালাম চলছে কংগ্রেস শিবিরে। দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘নিজের বই প্রচারের জন্য এখন অনেকেই খবর তৈরি করে তা প্রচার করেন। মজার বিষয় হল, এই বিষয়গুলি যদি বলারই ছিল, তা হলে ত্রিশ বছর পরে বলা হল কেন? এই বই প্রকাশের সময়টি দেখলেই বোঝা যাবে, সংসদের অধিবেশনের ঠিক আগে বিতর্ক তৈরি করাই এর লক্ষ্য।’’
তাঁর বইয়ের সারবস্তু নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার পর আলভা অবশ্য দাবি করেন, তিনি সনিয়া গাঁধীর বিরুদ্ধে কিছু লেখেননি। তবে এটা ঠিক, তাঁকে সত্যি কথা বলার খেসারত দিতে হয়েছিল। ২০০৮ সালে কর্নাটকে কংগ্রেসের টিকিট ‘বেচা’ হচ্ছিল বলে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছিলেন আলভা। তার পর সনিয়া ডেকে পাঠান আলভাকে। তাঁকে ইস্তফা দিতে হয়। পরে অবশ্য তাঁকে রাজ্যপাল করা হয়েছিল। কিন্তু আলভা এ কথা জানাতে ভোলেননি, মনমোহন সিংহ প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় তাঁকে মন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন। সনিয়ার আপত্তিতেই তা আটকে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy