অশান্ত কাশ্মীরে হুরিয়তের সঙ্গে যখন কথা বলতে গেলেন কংগ্রেসের নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার, বিজেপি উল্টে তাঁকেই বিচ্ছিন্নতাবাদী ও পাকিস্তানের ‘দালাল’-এর তকমা সাঁটল।
গত কয়েক দিন ধরেই উপত্যকায় ঘাঁটি গেড়েছেন মণিশঙ্কর। গত মঙ্গলবার ‘সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড প্রোগ্রেস’-এর উদ্যোগে কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নিয়ে এক আলোচনা চক্রেও যোগ দেন। আর আজ এক প্রতিনিধি দল নিয়ে তিনি দুই হুরিয়ত নেতা মিরওয়াইজ উমর ফারুক আর সাবির শাহের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন। মাস কয়েক আগে বিজেপি নেতা ও অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী যশবন্ত সিন্হাও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে দেখা করে সরকারকে রিপোর্ট দেন। কিন্তু সরকার তা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি। বরং হুরিয়তের সঙ্গে কথা বলা নিয়ে বিভিন্ন দলের চাপ থাকলেও তারা কোনও পদক্ষেপ করেনি। আজ মণিশঙ্কর আইয়ারদের প্রতিনিধি দল হুরিয়তের সঙ্গে বৈঠক করতে গেলে বিজেপি উল্টে রে-রে করে উঠেছে।
বিজেপি মণিশঙ্করকে পাকিস্তান ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ‘দালাল’ বলেই ক্ষান্ত হয়নি। দলের মুখপাত্র জি ভি এল নরসিংহ রাও বলেন, ‘‘মণিশঙ্করের মতো অনেক কংগ্রেস নেতা নিরন্তর পাকিস্তান ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হয়ে কাজ করছেন। এমনকী পাকিস্তানে গিয়ে সে দেশের মানুষদের সাহায্যও প্রার্থনা করেছেন। তাঁরা ভারতে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করতে পাক সাহায্য চান।’’ বিজেপির দাবি, মণিশঙ্করই বলেছিলেন বর্তমান সরকারকে না সরালে ভারত-পাক সম্পর্ক মধুর হবে না। তিনি দশ জনপথের ঘনিষ্ঠ। সনিয়া গাঁধী ও রাহুল গাঁধীর পরামর্শ ছাড়া তিনি এক পা-ও ফেলেন না।
বিজেপির এই আক্রমণাত্মক ভঙ্গি দেখে কংগ্রেস অবশ্য বলে, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কাউকে হুরিয়তের সঙ্গে বৈঠক করতে পাঠানো হয়নি। কিন্তু কপিল সিব্বলের বক্তব্য, ‘‘শুধুমাত্র সামরিক পথে কী কাশ্মীরের সমস্যা সমাধান করতে পারবে সরকার? এই সরকার কাশ্মীরকে স্বাভাবিক করতে কী করছে, সেটাই আসল ব্যাপার।’’ মণিশঙ্কর অবশ্য বলেন, ‘‘কাশ্মীরের পরিস্থিতি কী, সেটা দেখতেই আমরা এসেছি। এরপর আমরা কী-ই বা করতে পারি? হাতে কলম আছে, তা নিয়েই লিখতে পারি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy