Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

জোট বাঁচাতে লালুর ফোন হেমন্তকে

ঝাড়খণ্ডের ভোট-ময়দানে বিজেপির রথ রুখতে তৎপর হলেন লালুপ্রসাদ। আসন-বণ্টন নিয়ে মতবিরোধে ভেঙে যাওয়া কংগ্রেস-জেএমএম জোট ফের জুড়তে এগোলেন তিনি। গত রাতে লালু সরাসরি ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে। কথা বলেন ঝাড়খণ্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি নেতা বি কে হরিপ্রসাদের সঙ্গেও। দু’দশকের শত্রুতা ভুলে বিহার উপনির্বাচনে হাত মিলিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ, নীতীশ কুমার। তাতে থমকে গিয়েছিল মোদী-ঝড়। আরজেডি সূত্রের খবর, বিহারের উদাহরণ তুলেই লালু তাঁদের বোঝান, বিজেপিকে হারাতে মহাজোট জরুরি।

তৃণমূল ছেড়ে জেএমএম শিবিরে এলেন বিধায়ক চামরা লিন্ডা। শিবু সোরেনের আশীর্বাদও নিলেন। দর্শক মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার।  নিজস্ব চিত্র

তৃণমূল ছেড়ে জেএমএম শিবিরে এলেন বিধায়ক চামরা লিন্ডা। শিবু সোরেনের আশীর্বাদও নিলেন। দর্শক মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায়
রাঁচি শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৪০
Share: Save:

ঝাড়খণ্ডের ভোট-ময়দানে বিজেপির রথ রুখতে তৎপর হলেন লালুপ্রসাদ। আসন-বণ্টন নিয়ে মতবিরোধে ভেঙে যাওয়া কংগ্রেস-জেএমএম জোট ফের জুড়তে এগোলেন তিনি। গত রাতে লালু সরাসরি ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে। কথা বলেন ঝাড়খণ্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি নেতা বি কে হরিপ্রসাদের সঙ্গেও। দু’দশকের শত্রুতা ভুলে বিহার উপনির্বাচনে হাত মিলিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ, নীতীশ কুমার। তাতে থমকে গিয়েছিল মোদী-ঝড়। আরজেডি সূত্রের খবর, বিহারের উদাহরণ তুলেই লালু তাঁদের বোঝান, বিজেপিকে হারাতে মহাজোট জরুরি।

জোট নিয়ে আলোচনার সময়, প্রথমে ১৫টি আসন চেয়েও পরে ১০টি আসনেই রাজি হয়ে যান। কিন্তু কংগ্রেস-জেএমএম মতানৈক্যে জোটই ভেঙে যায়। ভাঙা জোট জুড়তে লালু উদ্যোগী হলেও হেমন্তের বক্তব্য, “ওঁকে বলেছি, আমাদের দলের প্রতীক তির-ধনুক। এক বার তির ছুঁড়ে দেওয়ার পর তা ফেরানো অসম্ভব।” এ দিন সন্ধেয় রাজ্যের ৮১টি আসনেই লড়াইয়ের কথা জানায় জেএমএম। ৬ জন প্রার্থীর নামও ঘোষণা করা হয়। রাজ্যে ২৫ নভেম্বর প্রথম দফায় ভোট হবে ১৩টি আসনে। ওই দফার জন্য প্রার্থীদের নাম জানিয়েছে কংগ্রেসও। আগে জোট না হলেও, ভোটের পরে প্রয়োজনে হাত মেলানোর রাস্তা খুলে রাখছে সকলেই।

আসন সমঝোতা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বিজেপি, আজসু শিবিরেও। দিল্লিতে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কয়েক বার বৈঠক করেও, এ দিন কার্যত খালি হাতে রাঁচিতে ফেরেন সুদেশ মহতো। ১৬টি আসন চেয়েছিলেন সুদেশ। তা নিয়েই মতবিরোধ। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-ই। বিধানসভার যুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসকে সঙ্গে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা (জেভিএম)। এত দিন এই জল্পনা নিয়ে মুখ না খুললেও, এ দিন দলের শীর্ষ নেতা বাবুলাল মরান্ডি বলেন, “টিএমসির সঙ্গে কথাবার্তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার রাস্তা খোলা রয়েছে।” বিরোধীরা বলছে, দলের অন্তর্কলহেই জেভিএম জোট গড়তে আগ্রহী। একই পরিস্থিতিতে রয়েছে প্রদেশ তৃণমূলও। এ দিন রাঁচিতে জেএমএম শীর্ষ নেতা শিবু সোরেনের আশীর্বাদ নিতে যান সদ্য তৃণমূল ছেড়ে আসা বিধায়ক চামরা লিন্ডা। তাঁকে বিষুণপুরের প্রার্থী করার কথাও ঘোষণা করে জেএমএম। পলামুর ভবনাথপুরে লড়াইয়ের টিকিট হাতে পেয়েও, এ দিন কংগ্রেস শিবির ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন বিধায়ক অনন্তপ্রতাপ দেব।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE