কয়লাখনি অনলাইন নিলামের বিরুদ্ধে ধর্মঘটে নামার হুমকি দিল শ্রমিক সংগঠনগুলি। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল হয়েছিল ২১৪টি কয়লাখনির বণ্টন। গত কাল সেই খনিগুলি ইন্টারনেটে নিলামের মাধ্যমে বণ্টন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। আজ নিলাম সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।
১৯৯৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ২১৮টি কয়লাখনি বণ্টন বেআইনি ভাবে হয়েছিল বলে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তার মধ্যে ২১৪টি কয়লাখনির বণ্টন বাতিল করে শীর্ষ আদালত। সেই খনিগুলিই ইন্টারনেটে নিলামের (ই-অকশন) মাধ্যমে ফের বণ্টন করা হবে। কিছু খনি কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের বিদ্যুৎ সংস্থাকে সরাসরি দেওয়া হবে। এখন খনি থেকে তুলে বাজারে কয়লা বিক্রি করার অধিকার রয়েছে কেবল কোল ইন্ডিয়ার মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার। ভবিষ্যতে বেসরকারি সংস্থাকে এই অধিকার দেওয়ার ব্যবস্থা অর্ডিন্যান্সে রেখেছে কেন্দ্র। তবে এখনই এই পথে এগোনো হবে না বলে জানান অরুণ জেটলি। এই সিদ্ধান্তকে শিল্পমহল স্বাগত জানালেও বিরোধিতায় নেমেছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। দেশে কয়লাখনি শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ। শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসি ও সিপিআই নেতা গুরুদাস দাশগুপ্তের কথায়, “পিছনের দরজা দিয়ে কয়লা ক্ষেত্রকে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিতে চায় কেন্দ্র।’’ ই-অকশনের বিরুদ্ধে ৫ থেকে ৭ই নভেম্বর দেশ জুড়ে ধর্নার ডাক দিয়েছে অল ইন্ডিয়া কোল ওয়ার্কার্স ফেডারেশন। উদ্বিগ্ন নানা রাজ্যের বিদ্যুৎ পর্ষদ ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমগুলিও। যে সব খনি তাদের হাতে রয়েছে সেগুলির ভবিষ্যৎ স্পষ্ট নয়। কেন্দ্রের তরফে আরও স্পষ্ট বক্তব্যের অপেক্ষায় বিদ্যুৎ পর্ষদ ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমগুলির কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy