এয়ার কুলারটা আগে ছিল জোধপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের অন্যতম চিফ অফিসারের ঘরে। সলমন খান এই জেলের ২ নম্বর ব্যারাকে আসার পরেই নাকি সেই কুলার তুলে এনে বসানো হয় বলিউড তারকার জন্য বরাদ্দ ২ নম্বর সেলে।
সলমন আজ জেল থেকে ছাড়া পেলেও অস্বস্তিতে কর্তৃপক্ষ। কারণ, সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, ‘কয়েদি নম্বর ১০৬’ সলমন জোধপুরের জেলে রীতিমতো ভিভিআইপি-র খাতির পাচ্ছিলেন বলে তারা জেনেছে। জেল সূত্র উদ্ধৃত করে তাদের দাবি, ডিআইজি (কারা) ও জেলারের পরিবার জেলে এসে প্রিয় তারকার সঙ্গে দেখা করে গিয়েছে। নিজস্বী তুলেছে পরিবারের বাচ্চারা। সলমন জেলে আসার পরে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের মধ্যেও তাঁর সঙ্গে নিজস্বী তুলতে হুড়োহুড়ি পড়েছিল। সলমন কাউকেই হতাশ করেননি।
এ-ও শোনা গিয়েছে, গত পরশু প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত জেলের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে সলমন বসে ছিলেন এসি ভিডিয়ো কনফারেন্সিং রুমে। স্বাভাবিক ভাবে, সেখানে টিভিও ছিল। দু’দিন নিজের ব্র্যান্ডের সিগারেটটাই খেয়েছেন সলমন। এ ছাড়া, একই দিনে কখনও বোনেরা, কখনও আইনজীবী, কখনও দেহরক্ষী শেরা, কখনও প্রীতি জিন্টা এসে দেখা করেছেন তাঁর সঙ্গে। অনেকের মতে, সলমন বিশেষ সুবিধা পাবেন না বলে জেল কর্তৃপক্ষ জানালেও বাস্তবে হয়েছিল উল্টোটা। পরিবারের লোকেরা সপ্তাহে এক দিন দেখা করতে পারবেন, এমনই বলা হয়েছিল। ডিআইজি প্রথম দিন জানিয়েছিলেন, সলমন সাধারণ খাটে শোবেন। পরে আবার বলা হয়, কম্বল পেতে মাটিতে শুতে হয়েছে নায়ককে। ফলে ধোঁয়াশা ছিল গোড়া থেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy