দক্ষিণ চিন সাগরে চিনা রণতরী। —ফাইল চিত্র
ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের আঁচ এখন ধিকি ধিকি জ্বলছে। এর মধ্যেই দক্ষিণ চিন সাগরে নতুন করে উত্তেজনা বাধাল চিন। সেই পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করল ভিয়েতনাম। পাশাপাশি, ভারতকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। শুক্রবার ভারতের বিদেশসচিব হর্ষ শ্রিংলার সঙ্গে বৈঠক করেন ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফ্যাম স্যান চাউ। দক্ষিণ চিন সাগরের বিতর্কিত এলাকায় বেজিং বোমারু বিমান এবং ফাইটার জেট মোতায়েন করেছে। চিনা আগ্রাসনের বিষয় ভারত-ভিয়েতনাম আলোচনায় উঠে আসে। বিষয়টি দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত বলেই মনে করছে দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের প্রতিবেশী দেশ ভিয়েতনাম।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, শ্রিংলার সঙ্গে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতের এই বৈঠক সাক্ষাৎ সৌজন্যমূলক। সেখানেই দক্ষিণ চিন সাগরে চিনা আগ্রাসনের বিষয়টি নয়াদিল্লির সামনে তুলে ধরেন হ্যানয়ের প্রতিনিধি। একইসঙ্গে ভারতের সঙ্গে কৌশলী বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষেও সম্মতি জানান ফ্যাম স্যান চাউ। চলতি মাসের শুরুতেই বিতর্কিত প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের সর্ববৃহৎ দ্বীপ উডি আইল্যান্ডে এইচ-৬জে বম্বার বিমান মোতায়েন করেছে চিন। বেজিংয়ের উদ্দেশ্য, ওই দ্বীপ যাতে চিনা সেনাবাহিনীর আয়ত্তে থাকে। চিনা সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস দাবি করেছে, ওই এলাকায় মার্কিন এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ারের তৎপরতায় বাধা দিতেই ওই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের অন্যতম দাবিদার ভিয়েতনামও। চিনের ওই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ করেছে তারা। হ্যানয়ের মতে, বেজিংয়ের এই পদক্ষেপ তাদের সার্বভৌমত্বে আঘাত হেনেছে এবং ওই অঞ্চলের স্থিতাবস্থাকে বিপন্ন করে তুলেছে। ভারতের সঙ্গে আলোচনায় চিনা আগ্রাসনের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ও উঠে আসে। দক্ষিণ চিন সাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে যে গ্যাস এবং কয়লা ব্লক রয়েছে তা উত্তোলনের জন্য ভারতের সাহায্য চেয়েছে ভিয়েতনাম। সেই সঙ্গে সামরিক ক্ষেত্রেও নয়াদিল্লির সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করতে চায় হ্যানয়।
আরও পড়ুন: পঞ্জাবে ভারত-পাক সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে হত ৫ অনুপ্রবেশকারী
দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে চিনের বিরোধ নতুন নয়। এর আগেও ওই এলাকায় এমন একতরফা পদক্ষেপ করেছে চিন। তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই অসন্তোষ জানিয়ে আসছে ওই সাগরের আশপাশে থাকা দেশগুলি। আমেরিকার অভিযোগ, ওই সাগরকে নিজেদের ‘সাম্রাজ্য’ হিসাবে ব্যবহার করছে বেজিং। সম্প্রতি চিনের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে ভারতও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy