সাংবাদিক বৈঠকে অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম। —পিটিআই
বর্ধিত মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কেন্দ্রের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টার পদ ছাড়লেন অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম। পারিবারিক বাধ্যবাধকতার কারণে তিনি চাকরি ছেড়ে আমেরিকায় ফিরে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। ২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর তিন বছরের জন্য তিনি অর্থ মন্ত্রকের মুখ্য উপদেষ্টার পদে যোগ দেন। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও তাঁর মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়। সুব্রহ্মণ্যমের চাকরি ছাড়ার পর তাঁর উত্তরসূরি নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে বলে খবর।
‘থ্যাঙ্ক ইউ অরবিন্দ’ শিরোনামে বুধবার নিজের ব্লগে জেটলি লিখেছেন, মেয়াদ বাড়ানোর সময়ই তিনি পারিবারিক বাধ্যবাধকতার বিষয়টি জানিয়েছিলেন সুব্রহ্মণ্যম। তারপরও আরও কিছু দিন তাঁকে থাকার অনুরোধ করায় তিনি তা মেনে নেন। কিন্তু তারপরও সুব্রহ্মণ্যম জানিয়েছেন, পারিবারিক বাধ্যবাধ্যকতা এবং অর্থ দফতরের চাকরি নিয়ে তিনি দ্বন্দ্বে ভুগছিলেন। শেষ পর্যন্ত পরিবারকেই প্রাধান্য দিয়ে তিনি চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সুব্রহ্মণ্যমের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে জেটলি লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দফতর-সহ কেন্দ্রের সমস্ত দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ এবংকর্মতৎপরতা তাঁর কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিয়েছিল।’
সুব্রহ্মণ্যমও কেন্দ্রের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে জেটলির ব্লগের জবাবে টুইটারে লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর পোস্টে আমি সম্মানিত ও কৃতজ্ঞ। মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টার চাকরি ছিল আমার কাছে সেরা, যা আমার সব চাহিদা পূরণ করেছে।’
আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগে ‘গডম্যান’ দাতি মহারাজকে সাত ঘণ্টার জেরা
সুব্রহ্মণ্যমের প্রায় চার বছরের সময়কালেই চারটি অর্থনৈতিক সমীক্ষা হয়েছে। তাতে তিনি নিজের স্বকীয়তা, প্রতিভা ও দক্ষতার পরিচয় রেখেছেন। সরকারি সাহায্য পেতে জন-ধন আধার মোবাইল (জ্যাম) প্রকল্প তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত। জিএসটি’র বিষয়ে সব পক্ষকে সহমতে আনা এবং তা চালু করার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। এছাড়া ভারতীয় অর্থনীতি বিষয়ে দেশে প্রথম অনলাইন কোর্স পরিচালনা করেছেন সুব্রহ্মণ্যম, যা থেকে প্রচুর পড়ুয়া ও শিক্ষক উপকৃত হয়েছেন। এছাড়া তিনিই প্রথম সরকারের অনলাইন পাঠ্যক্রমের কোর্স ‘স্বয়ম’ প্রকল্প চালু করেছেন, যা সরকারি কোর্সগুলির মধ্যে অন্যতম।
১৯৫৯ সালের ৭ জুন চেন্নাইয়ে জন্ম সুব্রহ্মণ্যমের। সেখানকার ডিএভি বয়েজ সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের পর দিল্লিতে সেন্ট স্টিফেনস কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হন। এরপর আইআইএম আমদাবাদ থেকে এমবিএ করেন। তারপর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম ফিল এবং ডি ফিল সম্পূর্ণ করেন। কাজ করেছেন ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড, গ্যাটের মতো সংস্থায়।
আরও পড়ুন: তরুণ আইপিএসের প্রেমে পাগল তরুণী পাড়ি দিলেন ১২০০ কিমি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy