ফারুক আবদুল্লা।— ফাইল ছবি।
প্রশ্ন আগেই উঠেছিল। রাজ্যের শাসক-বিরোধী সকলেই ইতিমধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত বিতর্কে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থানের তীব্র নিন্দা করেছেন। এ বার সেই তালিকায় নিজের নাম জুড়লেন রাজ্যের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা।
ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ফারুকের দাবি, ৩৫-এ ধারা নিয়ে যদি বৃহত্তর বিতর্ক হয়, তা হলে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠে আসবে। পাশাপাশি, ২০০৮ সালের অমরনাথ জমি বিতর্কের প্রসঙ্গটিও মনে করিয়ে দেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘সে সময় ৯৯ একর জমি নিয়ে কেন্দ্র ও তৎকালীন জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল, তার বাস্তবতা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে।’’ একইসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, জম্মু-কাশ্মীরের ভারতভুক্তি নিয়েও বিতর্ক উঠবে। ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার এ সব নিয়ে বিতর্কের জন্য প্রস্তুত তো?’’— প্রশ্ন ফারুকের।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরের ভারতভুক্তি নিয়েই বিতর্ক উঠে যাবে এ বার: ওমর
সোমবারই কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থানের ক়ড়া সমালোচনা করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। পাশাপাশি, জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও গত সপ্তাহে বলেছিলেন, ‘‘রাজ্য থেকে ৩৫-এ ধারা তুলে নেওয়া হলে উপত্যকায় ভারতের জাতীয় পতাকা তোলার মতো আর কেউ থাকবেন না।’’
আরও পড়ুন: বাঘেলা নেই, এনসিপি অনিশ্চিত, পটেল জিতবেন তো?
২০১৪ সালে এক অসরকারি সংগঠন জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৫-এ ধারা বাতিল করার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন জমা দিয়েছিল। এর পরই জম্মু-কাশ্মীর সরকার পাল্টা হলফনামা জমা দিয়ে এই রিট পিটিশন খারিজ করার দাবি তোলে। জম্মু-কাশ্মীর সরকার বার বার অনুরোধ করলেও ৩৫-এ ধারা বহাল রাখার পক্ষে কেন্দ্র সওয়াল করেনি। উল্টে, গত মাসে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল সুপ্রিম কোর্টে জানান, বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হওয়া উচিত। সেই মন্তব্যের পরই প্রথম মুখ খুলেছিলেন মুফতি। এ বার সে পথে হাঁটলেন ফারুকও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy