মণিপুরে নাগা অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায় অশান্তি, অবরোধ নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এ নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ দিকে, নাগা এলাকাগুলিকে বিচ্ছিন্ন করে মণিপুরে সাতটি নতুন জেলা গঠনের সিদ্ধান্তকে ওক্রাম ইবোবি সিংহের বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাবের পরিচয় বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। মণিপুরের দায়িত্ব প্রকাশকে দিয়েছে বিজেপি। তিনি ইম্ফল সফরে এসে অভিযোগ করেন, পরাজয় নিশ্চিত জেনে ইবোবি ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ নীতি নিয়েছেন। শাসক দল কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছিল, এনএসসিএনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মণিপুরে অশান্তি জিইয়ে রাখতে চাইছে বিজেপি ও এনডিএ শরিক এনপিএফ। কিন্তু জাভড়েকর বলেন, “ইবোবি বিচ্ছিন্নতাবাদের খেলায় নেমেছেন। তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশে নতুন এতগুলি জেলা গড়লেন।’’ তাঁর দাবি, মণিপুরের মানুষ জেলার দাবি তোলেননি। মানুষের অসন্তোষ মেটাতে, আন্দোলন তুলতে ব্যর্থ হয়েই জেলাভাগের অস্ত্র ব্যবহার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির ওই নেতার মতে, গত দেড় দশক টানা রাজ্যশাসন করেও দারিদ্র্য, নাশকতা, উপজাতি সমস্যা মেটাতে পারেনি কংগ্রেস। মণিপুরের উখরুল, তামেংলং, চাণ্ডেল, সেনাপতি নাগা অধ্যূষিত জেলা। সেখানে নাগাল্যান্ডের বৃহত্তম দল ও শাসক জোটের প্রধান দল এনপিএফ এবং এনএসসিএন আই-এম জঙ্গিদলের প্রভাব ব্যাপক। এনপিএফ মণিপুরে শাখা খোলার পরে ক্রমে শক্তিশালী হচ্ছে। মণিপুরের টাংখুল নাগা ও মেইতেইদের মধ্যে ইনারলাইন পারমিট নিয়ে দূরত্ব ও রেষারেষিও বাড়ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন দুর্নীতি, ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার জেরে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার জের, ইরম শর্মিলা চানুর রাজনীতিতে প্রবেশ, ইনারলাইন পারমিট চালু ও আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন— সব মিলিয়ে কোণঠাসা ইবোবি সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy