অমিত শাহ
রাফাল থেকে সিবিআই— একের পর এক কাঁটা যে ভোগাচ্ছে, তা স্পষ্ট বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের গলায়। এমনিতেই একাধিক বিষয়ে সাম্প্রতিক কালে বারবার অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে বিরোধীরা বারবার নিশানা করছেন মোদীকেই। এই অবস্থায় মোদী সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে জবাব দিতে আসরে নামলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
রাহুল গাঁধীর অভিযোগ, ছুটিতে পাঠানো সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মা রাফালের তদন্ত শুরু করতে চাইছিলেন বলেই ভয় পেয়ে তাঁকে রাত দু’টোয় সরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ নরেন্দ্র মোদীকে আড়াল করে সে অভিযোগের জবাব দিতে আসরে নামলেন মোদীর সেনাপতি অমিত শাহ। এক টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সরকারের সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করে তাঁর যুক্তি, সিবিআইয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার আগেই রাফাল মামলা সুপ্রিম কোর্টে চলে যায়। আর যখন সুপ্রিম কোর্টে কোনও মামলা বকেয়া থাকে, তখন এমনিতেই সিবিআই কিছু শুরু করতে পারে না।
অনেকের ধারণা, অমিত শাহ সম্ভবত আইনজীবী এম এল শর্মার করা প্রথম মামলার কথা বলেছেন। যিনি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আর সে দিনই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই ব্যক্তি বিজেপির ইশারাতেই আদালতে মামলা করেছেন। যদিও পরে প্রশান্ত ভূষণের সঙ্গে বাজপেয়ী সরকারের দুই মন্ত্রী অরুণ শৌরি ও যশবন্ত সিন্হাও রাফাল নিয়ে মামলা করেন। যার শুনানি শুরু হয়েছে। অমিত শাহের বক্তব্য, সিবিআইয়ে যখন দুই অফিসার একে অন্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে লড়ছেন, তখন সরকার কী করে নীরব দর্শক হয়ে বসে থাকতে পারে? এখন সুপ্রিম কোর্টের নিযুক্ত এক প্রাক্তন বিচারপতির নজরদারিতে তদন্ত হচ্ছে। শুক্রবারেই তার শুনানি। সিদ্ধান্ত যাই হোক, সরকারের কিছু করণীয় নেই।
সরকারি বিষয়ে অমিত শাহের ব্যাখ্যা বা মোদীর মন্ত্রীদের সঙ্গে তাঁর ঘনঘন বৈঠক নিয়ে বিরোধীরা বরাবরই সরব। তাদের বক্তব্য, দলের সভাপতি কী করে এ কাজ করতে পারেন? অমিত অবশ্য সে সব গায়েই মাখেন না। এ দিন তাঁর জবাবেও তা ধরা পড়েছে বলে কটাক্ষ বিরোধীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy