ভিজিল্যান্স কমিশনের দফতরে হাজিরা দিলেন অলোক বর্মা। —ফাইল চিত্র।
সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মা আজ কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন (সিভিসি)-এর দফতরে গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে রাকেশ আস্থানার তোলা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা তথ্য নথিভুক্ত করে এলেন। দু’দিন আগেই লিখিত ভাবে ভিজিল্যান্স কমিশনের প্রশ্নমালার জবাব দিয়েছেন তিনি। গত কালও কমিশনের দফতরে গিয়ে এক দফা বয়ান দেন। কিন্তু এক অফিসারের অনুপস্থিতির কারণে তাঁর সেই বয়ান লিপিবদ্ধ করতে এক দিন বাড়তি সময় লাগল। বর্মা চলে যাওয়ার পরে বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ সিভিসি-তে যান আস্থানাও। ছিলেন মিনিট দশ। তবে শীর্ষকর্তাদের কারও সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।
আজ ভিজিল্যান্স কমিশনার কে ভি চৌধুরির সামনে কার্যত তৃতীয় বারের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে আস্থানার তোলা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করলেন বর্মা। এ দিন প্রায় এক ঘণ্টা কমিশনের দফতরে ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, আরও দুই ভিজিল্যান্স কমিশনার শরদ কুমার এবং টি এম ভাসিনের উপস্থিতিতে আস্থানার অভিযোগের প্রতিটি ছত্র ধরে ধরে পাল্টা তথ্য দিয়েছেন বর্মা। সুপ্রিম কোর্ট যাঁকে এই তদন্তে নজরদারির দায়িত্ব দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের সেই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ কে পট্টনায়কও উপস্থিত ছিলেন।
অক্টোবরের ২৬ তারিখ সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনকে দু’সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। রবিবার এই সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সোমবার বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হওয়ার কথা। সরকারি সূত্রের খবর, গত কাল আস্থানাও ভিজিল্যান্স কমিশনারদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তিনিই গত ২৪ অগস্ট প্রথম বর্মার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। সিবিআইয়ে আস্থানার নিয়োগ নিয়ে আগে থেকেই আপত্তি ছিল বর্মার। যদিও প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় আস্থানাকেই সিবিআই প্রধান করতে চেয়েছিল। আড়াই মাস ধরে দুই কর্তার এই প্রকাশ্য সংঘাতে বেজায় অস্বস্তিতে মোদী সরকার। কংগ্রেস-সহ বিরোধীরাও আক্রমণ করতে শুরু করেছে কেন্দ্রকে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বর্মার এ দিনের জবানবন্দি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy