Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
স্থিতাবস্থার নির্দেশ তারা খনিতে

নিলামের খনি কোল ইন্ডিয়াকে কী ভাবে, প্রশ্ন আদালতের

ছত্তিসগঢ়ে দরপত্র বাতিল হওয়া তারা কয়লা ব্লকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলল দিল্লি হাইকোর্ট। নিলামে ওই খনির জন্য সর্বোচ্চ দাম হেঁকেছিল জিন্দল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার (জেএসপিএল)। ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারির পাশাপাশি সোমবার ওই খনি নিয়ে কেন্দ্রের দিকে প্রশ্নও ছুঁড়ে দিয়েছে আদালত। জানতে চেয়েছে, নিলামের মাধ্যমে বণ্টনের জন্য চিহ্নিত করার পরেও কী ভাবে ওই কয়লা ব্লক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কোল ইন্ডিয়ার হাতে তুলে দিতে পারে কেন্দ্র?

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৫ ০৩:৪২
Share: Save:

ছত্তিসগঢ়ে দরপত্র বাতিল হওয়া তারা কয়লা ব্লকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলল দিল্লি হাইকোর্ট। নিলামে ওই খনির জন্য সর্বোচ্চ দাম হেঁকেছিল জিন্দল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার (জেএসপিএল)।

১৬ এপ্রিল পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারির পাশাপাশি সোমবার ওই খনি নিয়ে কেন্দ্রের দিকে প্রশ্নও ছুঁড়ে দিয়েছে আদালত। জানতে চেয়েছে, নিলামের মাধ্যমে বণ্টনের জন্য চিহ্নিত করার পরেও কী ভাবে ওই কয়লা ব্লক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কোল ইন্ডিয়ার হাতে তুলে দিতে পারে কেন্দ্র?

অন্যান্য খনির তুলনায় সর্বোচ্চ দাম অস্বাভাবিক রকম কম ঠেকায় ন’টি কয়লা খনির জন্য জমা পড়া সর্বোচ্চ দরপত্র খতিয়ে দেখেছিল কেন্দ্র। তার মধ্যে চারটি বাতিল করে তারা। এই ৪ খনির ৩টিতে (গারে পালমা ৪/২, গারে পালমা ৪/৩ এবং তারা ব্লক) সবচেয়ে বেশি দাম দিয়েছিল জেএসপিএল। বালকো সর্বোচ্চ দর হেঁকেছিল গারে পালমা ৪/১ ব্লকের জন্য।

কিন্তু বিষয়টি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় জিন্দলরা। আদালতকে জানানো হয় যে, জে এস পি এলের দর বাতিল হওয়া অন্য দুই খনি গারে পালমা ৪/২ এবং গারে পালমা ৪/৩-কে কোল ইন্ডিয়ার হাতে তুলে দিয়েছে কয়লা মন্ত্রক। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই এ দিন ওই প্রশ্ন তুলেছে আদালত। এই অভিযোগের উত্তর দিতে কেন্দ্রকে দু’দিন সময় দিয়েছে তারা।

উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বণ্টন বাতিল হওয়া ২০৪টি খনির মধ্যে প্রথম দু’দফায় ৩৩টিকে নিলামে তুলেছে কেন্দ্র। মোট দাম উঠেছে দু’লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু তা সত্ত্বেও বারবার প্রশ্ন উঠছিল ন’টি খনির জন্য জমা পড়া সর্বোচ্চ দর নিয়ে। অনেকে অভিযোগ তুলছিলেন, আসলে ওই খনিগুলির জন্য দরপত্র পেশের সময় নিজেদের মধ্যে যোগসাজশ করেই কম দাম হেঁকেছে সংস্থাগুলি। যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নেওয়া অন্য খনিতে প্রতি টন কয়লার ১,১০০ টাকা পর্যন্ত দর উঠেছে, সেখানে ১০৮ টাকা দাম হেঁকেই কয়লা ব্লকে সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছে জেএসপিএল।

এই অবস্থায় গত ১৭ মার্চ কেন্দ্র জানিয়েছিল, ৯টি খনির সর্বোচ্চ দর খতিয়ে দেখছে তারা। কয়লা সচিব অনিল স্বরূপের দাবি ছিল, একই ধরনের অন্যান্য খনির তুলনায় ওইগুলিতে কয়লার দর এত কম জমা পড়ল কেন, মূলত সেই বিষয়টিই দেখছেন তাঁরা। যোগসাজশ হয়েছে কি না, তা তাঁদের বিচার্য নয়।

শিল্পমহলের একাংশ অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন, যে খনিতে প্রতি টন কয়লার ন্যূনতম দর কেন্দ্রই ১০০ টাকায় বেঁধে দিয়েছিল, সেখানে সর্বোচ্চ দাম ১০৮ টাকা উঠলে, পরে তা খতিয়ে দেখা হবে কেন? এ দিন জেএসপিএলের আইনজীবীদেরও সওয়াল, বিদ্যুৎ সংস্থার জন্য তুলে রাখা খনি কোল ইন্ডিয়াকে দিলে কয়লা তোলার খরচ বইতে হবে ক্রেতাদেরই।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE