শিকড়ের টান। পূর্বপুরুষের স্মৃতি রোমন্থনে তাই ‘সাত সমুদ্র তেরো নদী’ পারের ব্রিটেন থেকে অসমের হাইলাকান্দি জেলার চন্দ্রপুর গ্রামে এলেন হাইস্কুলের ইতিহাস শিক্ষক অ্যালান পামার।
অ্যালানের দাদু আরনেস্ট গ্রিন। প্রায় সাত দশক আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি এসেছিলেন হাইলাকান্দিতে। পরে মায়ানমারে যুদ্ধের ময়দানে গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। দাদুর গল্প মায়ের কাছে শুনেছিলেন অ্যালান। দাদুর লেখা ডায়েরিও পড়েন তিনি। ঠিক করেন, দাদুর জীবনী তিনি লিখবেন। সেই সূত্রেই এসেছেন হাইলাকান্দির চন্দ্রপুরে। এর আগে তিনি মায়ানমারে গিয়ে দাদুর সমাধিও দেখে এসেছেন।
কিন্তু হাইলাকান্দির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কোথায়?
অ্যালান জানান, আরনেস্টের ডায়েরি পড়ে তিনি জানতে পারেন, ১৯৪২ সালে তিনি জাহাজে এসেছিলেন ভারতে। পৌঁছেছিলেন হাইলাকান্দির লালাঘাটে। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে গিয়েছে। পরাধীন ভারতে তখন ইংরেজদের শাসন। হাইলাকন্দির কয়েকটি জায়গায় তৈরি হয়েছিল ইংরেজদের বিমানঘাঁটি, রানওয়ে। সেখান থেকে যুদ্ধবিমান উড়ত শত্রুপক্ষের শিবিরে বোমা ফেলতে। চন্দ্রপুরের ঘাঁটিতে ইংরেজ সেনাদের গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণও দেওয়া হতো। কয়েক দিন আরনেস্ট চলে যান মায়ানমারে। অ্যালান জানান, শিলচরে পৌঁছনোর পর চিকিৎসক সুজিত নন্দী পুরকায়স্থের ছেলে সিদ্ধার্থবাবু এবং প্রাক্তন খেলোয়াড় নির্মাল্য নাথের উদ্যোগে আজ তিনি লালার চন্দ্রপুরে যান। সেখানকার বিস্তীর্ণ মাঠের সামনে দাঁড়িয়ে অ্যালান বলেন, ‘‘আজ যেন আমার প্রয়াত দাদুর সাহচর্যও অনুভব করছি।’’ তাঁর সঙ্গে ছিলেন লালার সংস্কৃতিকর্মী নচিকেতা নাথ। পরে লালা রুরাল কলেজেও যান অ্যালান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy