Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

মস্তিষ্কের মৃত্যু নাবালিকার, পরিবারের ইচ্ছায় হল গ্রিন করিডর গড়ে অঙ্গ দান

গত শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্কুলে অজ্ঞান হয়ে যায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তেজশ্রী শেলকে। এর পরই মহারাষ্ট্রের নাসিকের সিন্নার তালুকার অন্তর্গত পান্ধুরলি গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্রীকে প্রথমে আদগাঁওয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় পওয়ার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

সংবাদ সংস্থা
নাসিক শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১২:১৩
Share: Save:

স্কুলের মধ্যে আচমকা জ্ঞান হারিয়েছিল ১১ বছরের ছাত্রী। সঙ্কটজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দিন চারেক গুরুতর অসুস্থ থাকার পর চিকিত্সকরা জানান মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীটির। এই খবর শোনার পর বিন্দুমাত্র সময় না নিয়ে অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নিলেন তার বাবা-মা। শুধু তা-ই নয়, সেই অঙ্গগুলি পৌঁছতে যাতে কোথাও ট্র্যাফিকে দেরি না হয়, সে জন্য তৈরি করা হল ‘গ্রিন করিডর’। মুম্বই, পুণে, সোলাপুরে তিন জনের দেহে প্রতিস্থাপন করা হয় নাবালিকার অঙ্গ।

আরও পড়ুন: ‘এমন শাস্তি যেন স্কুল না দেয়’, চিঠি লিখে আত্মঘাতী ক্লাস ফাইভের ছাত্র

গত শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্কুলে অজ্ঞান হয়ে যায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তেজশ্রী শেলকে। এর পরই মহারাষ্ট্রের নাসিকের সিন্নার তালুকার অন্তর্গত পান্ধুরলি গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্রীকে প্রথমে আদগাঁওয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় পওয়ার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

মঙ্গলবার সেখানে চিকিৎসকেরা তেজশ্রীর মস্তিষ্কের মৃত্যু (ব্রেন ডেথ) হয়েছে বলে ঘোষণা করেন। তাঁরা জানান, মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবারহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। এর পরই তেজশ্রীর বাবা জানিয়ে দেন, সন্তানের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করতে আগ্রহী তাঁরা। সেই মতো খবর দেওয়া হয় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এবং পুলিশকে। জরুরি বৈঠকে বসেন পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।

আরও পড়ুন: স্টেশনে যাত্রীদের সম্পূর্ণ ভিজিয়ে দিল ট্রেন! দেখুন ভিডিও

এর পরই পুলিশি প্রহরায় ‘গ্রিন করিডর’-এর মাধ্যমে মুম্বই, পুণে ও সোলাপুরে পাঠিয়ে দেওয়া নাবালিকার তিনটি অঙ্গ। জানা গিয়েছে, তেজশ্রীর হৃদপিণ্ড নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বইতে। কিন্তু, তখন প্রবল বৃষ্টিতে চলছিল বাণিজ্যনগরীতে। বৃষ্টির জন্য যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে মুম্বই পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ঠিক সময়েই হৃদপিণ্ডটি সাত বছরের একটিছেলের শরীরে প্রতিস্থাপন করেন চিকিৎসকরা।

অন্যদিকে, পুণেতে এক রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয় লিভার। একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় সোলাপুরের এক রোগীর দেহে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE