খোদার উপর খোদকারি করা মানা। যুগে যুগে এর চেয়ে বড় সত্য আর কিছু নেই। একমাত্র বিপরীত বুদ্ধির যারা, তারাই এই খোদকারির চেষ্টা বরাবর করে এসেছে। অনিবার্য পরিণতি হয়েছে, পরাজয়।
পহলাজ নিহালনি এ কথাটা যদি আগেভাগে বুঝতেন, তাহলে তাঁর এবং ভারতের সেন্সর বোর্ড নামে গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্থার মান বাঁচত। বাঁচেনি তার কারণ একটাই, খোদাকে ভুলে গিয়েছিলেন পহলাজ। সৃষ্টি করছেন যিনি, তাঁর উপর ছড়ি ঘোরানোর দায়িত্ব যে তাঁকে দেওয়া হয়নি, এই কথাটাই বেমালুম ভুলে ছিলেন পহলাজ। অথবা মোদীর ‘চামচা’ হতে গিয়ে, রাজনৈতিক ও নির্বাচনী কারণগুলোকে মাথায় রেখে শিল্পের থেকে বহুদূরে চলে গিয়েছিলেন। কুর্ণিশ ভারতীয় গণতন্ত্রকে, যেখানে ভারসাম্য শেষ পর্যন্ত বজায় থাকবেই।
উড়তা পঞ্জাব নিয়ে বম্বে হাইকোর্টের রায় এবং সেন্সর বোর্ডের উদ্দেশে চরম তিরস্কার আরও একবার আমাদের একইসঙ্গে আত্মগ্লানি (নিহালনি প্রমুখের কারণে) ও আত্মগৌরবের (সৌজন্যে বম্বে হাইকোর্টের রায়) সামনে দাঁড় করালো।
মুশকিলটা হচ্ছে পহলাজ নিহালনিরা এই পরাজয় সম্ভাব্য জেনেও এ পথে হাঁটেন অন্যতর পুরষ্কারের আকাঙ্খায়। ভারতীয় গণতন্ত্র ততটাই পরিণত হোক, যেখানে কোনও অন্যায়ের পথে গিয়ে শেষ পর্যন্ত পুরষ্কার মিলবে না। অন্যায়ের কোনও পুরষ্কার নেই। অন্তত একবার এ গণতন্ত্র সে কথা প্রমাণ করুক।
তার আগে আজ এ মুহূর্তে সেই যাত্রায় আমরা উড়তা পঞ্জাবের পাখায় সওয়ার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy