বদলাপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ। —ফাইল চিত্র।
বদলাপুরের এক স্কুলে দুই খুদে পড়়ুয়াকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে এ বার স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করল বম্বে হাই কোর্ট। বিতর্ক, আন্দোলনের মাঝে বুধবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাই কোর্ট। বৃহস্পতিতেই মামলার শুনানি হবে বিচারপতি রেবতীমোহিতে দেরে ও বিচারপতি পৃথ্বীরাজ চৌহানের ডিভিশন বেঞ্চে। গত সপ্তাহে বদলাপুরের ওই স্কুলে দুই কিন্ডারগার্টেন ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে উত্তাল বদলাপুর। শনিবার মহারাষ্ট্র বন্ধের ডাক দিয়েছে বিরোধীরা।
বদলাপুরকাণ্ডে নড়েচড়ে বসছে মহারাষ্ট্র সরকারও। আগামী এক মাসের মধ্যে সে রাজ্যের সব স্কুলকে বসাতে হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। বুধবার এই মর্মে সরকারি নির্দেশিকা জারি হয়েছে। না মানলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এমনকি স্কুল চালানোর অনুমতিও বাতিল করে দেওয়া হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী দীপক কেসরকর।
অভিযোগ উঠছে, বদলাপুরের স্কুলে যৌন নিগ্রহের ঘটনাটি ঘটেছিল ১৩ অগস্ট। এর পর ১৬ অগস্ট এফআইআর দায়ের হয়। পরিবারের অভিযোগ, থানায় অভিযোগ জানানোর ১১ ঘণ্টা পর এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় ১৭ তারিখেই স্কুলের এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। বর্তমানে অভিযুক্ত রয়েছেন পুলিশি হেফাজতে। ২৬ অগস্ট পর্যন্ত তাঁর পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে নিম্ন আদালত। এ ছাড়া ওই স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা এবং আর এক শিক্ষিকাকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে।
তবে এ সবের মধ্যেও প্রতিবাদ, বিক্ষোভ দমার লক্ষণ নেই। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন অভিভাবকেরা। তাতে পা মেলাচ্ছেন সাধারণ মানুষও। এ সবের মধ্যেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদ কর্মসূচিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেও ব্যাখ্যা করেছেন। সরকারের বদনাম করার চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন শিন্ডে। তা নিয়ে বেধেছে বিতর্ক। উদ্ধবপন্থী শিবসেনা শিবির ও কংগ্রেসের বিরোধী জোট শনিবার বদলাপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে বন্ধের ডাক দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy