অসমের ধুবুরি থেকে পশ্চিমবঙ্গের দিকে আসতে পরের স্টেশন গৌরীপুর। সেই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে উদ্ধার হল একটি শক্তিশালী বোমা। প্রায় দু’কেজি ওজনের বোমাটি মঙ্গলবার দুপুরে দেখতে পান যাত্রীরাই। তাঁরা ধুবুরি-শিলিগুড়ি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। লোহার বাক্সের মধ্যে বিস্ফোরক ভরে তৈরি বোমাটির সঙ্গে লাগানো ছিল একটি ঘড়িও। ঘড়িটি বন্ধ ছিল। ওই লোহার বাক্সের গায়ে কাগজ সেঁটে তাতে ইংরেজিতে হাতে লেখা ছিল, ‘মেড ইন বাংলা’ এবং ‘শিলিগুড়ি-ধুবুরি’।
শিলিগুড়ি-ধুবুরি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসটি এ দিন দুপুর দেড়টার পরে শিলিগুড়ি থেকে এসে গৌরীপুর পৌঁছয়। গৌরীপুর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে ধুবুরি। পৌনে দু’টো নাগাদ ট্রেনটি ধুবুরি পৌঁছয়। ওই ট্রেনটিরই ফের দু’টো নাগাদ ধুবুরি থেকে শিলিগুড়ি রওনা হওয়ার কথা ছিল। সেই ট্রেনের জন্যই গৌরীপুরে অপেক্ষা করছিলেন কিছু যাত্রী। তখনই প্ল্যাটফর্মের শেষের দিকে যাত্রীদের বসার আসনের নীচে ব্যাগের মধ্যে ঘড়ি লাগানো বাক্সটি দেখা যায়। যাত্রীরাই পুলিশকে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ, সিআরপিএফ এবং সেনার জওয়ানরা ছুটে যান। খবর দেওয়া হয় বোমা বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা ব্যাগটি পরীক্ষা করে বোমা বলে নিশ্চিত হন। এর পর প্রায় দু’ঘন্টা বাদে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের সন্দেহ, নাশকতার উদ্দেশ্যেই বোমাটি শিলিগুড়ি বা তার আশপাশের কোনও এলাকা থেকে গৌরীপুর নিয়ে যাওয়া হয়। এমনকী ধুবুরিগামী ইন্টারসিটি করেই ওই বোমা নিয়ে যাওয়া হয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধুবুরির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশিস বরা জানান, ঘটনার গতি প্রকৃতি দেখে এবং প্রাথমিক তদন্তের পরে মনে হচ্ছে বোমাটি হাতবদলের উদ্দেশ্যে শিলিগুড়ি-ধুবুরি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস করে গৌরীপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে ফেলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy