Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
National News

ফের নীল তিমির গ্রাস! ক্যাম্পাসের গাছে মিলল পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ

অসমের তরুণ শশী এ বার ব্লু হোয়েলের শিকার। পদুচেরিতে নিজের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের গাছ থেকে মিলল শশীর ঝুলন্ত দেহ।

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২০:০৭
Share: Save:

"এই পৃথিবী খুব সুন্দর। কিন্তু তা আমার জন্য নয়। আমিও কারও জন্য জন্মাইনি।" ফেসবুকে এই ছিল ধেমাজির শশীকান্ত বরির শেষ বার্তা। তার পর গত রাতে (বৃহস্পতিবার) পন্ডিচেরি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মিলল ২২ বছরের শশীকান্তর নিথর দেহ। তাঁর মোবাইল-ল্যাপটপ ঘেঁটে পুলিশ জেনেছে শশী ব্লু-হোয়েল খেলছিলেন।

অসমের ধেমাজি জেলার জনাইয়ের বাসিন্দা রাম বরির ছোট ছেলে শশী পুদুচেরির বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ পড়ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ শশী শেষ বার বাড়িতে ফোন করেছিলেন। রাত ১টা নাগাদ বাড়িতে ফোন করে তাঁর বন্ধুরা জানান, শশী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রামবাবু ভোরেই চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু পরিবারের কেউ ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে মেনে নিতে পারছেন না।

আরও পড়ুন: রিষড়ায় দশম শ্রেণির ছাত্রের হাতে ‘নীল তিমি’

শশীর বন্ধুরা অবশ্য জানাচ্ছেন, আগেও এক বার তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। শশীর শরীরে অনেক কাটা দাগও ছিল। জুলাই মাসে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন অসমের ওই তরুণ। কিন্তু কারও সঙ্গে মিশতেন না। খেলা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও অংশ নিতেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ে শশীর সঙ্গে কারও তেমন বন্ধুত্বও হয়নি। শশীর মোবাইলে ব্লু-হোয়েল গেম মিলেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। অসমে থাকাকালীনই শশী ওই খেলায় শুরু করেছিলেন বলে পুলিশের অনুমান।

আরও পড়ুন: ব্লু হোয়েল মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু দিল্লির স্কুলগুলির

এ দিকে শুক্রবার ফের অসমে ব্লু হোয়েল গেমের খপ্পরে পড়া দুই ছাত্রের সন্ধান মিলেছে। নগাঁও জেলার রহা ও সামাগুড়ির বাসিন্দা ওই দুই পড়ুয়ার হাতে তিমি মাছ আঁকা রয়েছে দেখে পরিজনরা পুলিশের সাহায্য চান। পুলিশ তাদের মনোচিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE