প্রতীকী ছবি।
আন্ধেরিতে ১৪ বছর বয়সী এক স্কুলপড়ুয়া আত্মঘাতী হওয়ার পর ব্লু হোয়েল ভিডিও গেম নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। তিনি গেমটিকে ‘বিপজ্জনক’ বলে মনে করছেন। বিষয়টি তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের গোচরে আনতে চান।
মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ফডণবীস রাজ্য বিধানসভায় বলেছেন, ‘‘ব্লু হোয়েল ভিডিও গেমটি খুব বিপজ্জনক। গেমটি অনেকেরই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি আমি কেন্দ্রকে জানাব শীঘ্রই।’’
আরও পড়ুন- ১৩০ জনের আত্মহত্যার জন্য দায়ী এই অনলাইন গেম!
গত শনিবার আন্ধেরিতে নবম শ্রেণির এক ছাত্র বন্ধুদের ফোন করে জানায়, সে ব্লু হোয়েল ভিডিও গেমটি দেখেছে। সে উত্তেজিত। ‘‘আমি এখনই বাড়ি থেকে নীচে ঝাঁপ মারছি’’ বলে সে বন্ধুদের ফোন কেটে দেয়। ছেলেটি এও বলছিল, সে আর স্কুলে যাবে না। তার সঙ্গে আর দেখা হবে না বন্ধুদের। বন্ধুরা মনে করেছিল, ছেলেটি তাদের সঙ্গে মস্করা করছে! কিন্তু বাড়ির ৬ তলা থেকে সেই ছেলেটি ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়। গত শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ ছেলেটিকে ৬ তলা থেকে ঝাঁপ দিতে দেখেছিলেন এক পথচারী। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে টেলিফোনে সে কথা জানান। পুলিশ এসে দেখে ছেলেটি মৃত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে রয়েছে। পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন- অনলাইন গেম চ্যালেঞ্জ! জিততে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী ছাত্র
পুলিশ কর্তা মিলিন্দ খেতলে বলেছেন, ‘‘খতিয়ে দেখা হচ্ছে, ভারতে এটাই ব্লু হোয়েল ভিডিও গেমের জেরে কোনও আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা কি না। চার বছর আগে রাশিয়ায় এই ভিডিও গেম চালু হওয়ার পর অন্যান্য দেশে এমন ঘটনা বহু ঘটেছে। আত্মঘাতী ছেলেটির বন্ধুরা ওই ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছে, ব্লু হোয়েল ভিডিও গেম দেখেই তাদের বন্ধুটি আত্মঘাতী হয়েছে। সেটা সঠিক কি না, আমরা তদন্ত করে দেখছি। আত্মঘাতী ছাত্রটির মোবাইল ফোন, ল্যাপটপও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। আগে স্কুলপড়ুয়ারা মেতেছিল ‘পোকেমান গো’ খেলায়। এখন মেতেছে ব্লু হোয়েল সুইসাইড চ্যালেঞ্জ গেমে। গেমে যা যা বলা হচ্ছে, স্কুলপড়ুয়ারা তা-ই করছে। দেখতে হবে এই ক্ষেত্রেও তেমন কিছু ঘটেছে কি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy