প্রতীকী ছবি।
গুয়াহাটির অন্তত পাঁচ জন কিশোর-কিশোরী ব্লু-হোয়েল গেমে জড়িয়ে পড়েছে। জানতে পেরে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। পুলিশ ও অভিভাবকদের চিন্তা আরও বাড়িয়েছে গুগল ট্রেন্ডস। তাতে দেখা যাচ্ছে, গোটা বিশ্বে ব্লু হোয়েল গেমের সার্চ ও ডাউনলোডে পয়লা নম্বরে রয়েছে কলকাতা। চতুর্থ স্থানেই আছে উত্তর-পূর্বের প্রাণকেন্দ্র গুয়াহাটি। বিশ্বে নীল তিমির খোঁজ করা প্রথম দশটি শহরের মধ্যে সাতটিই ভারতে। কলকাতার পরে রয়েছে সান আন্তোনিও, নাইরোবি, গুয়াহাটি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, মুম্বই, নয়াদিল্লি, হাওড়া ও প্যারিস। গত এক বছরের হিসেবে কলকাতা এ ক্ষেত্রে টানা প্রথম ও ভারত টানা তৃতীয় স্থানে ছিল।
আরও পড়ুন: ‘ব্লু হোয়েল’ অ্যাডমিন, এই কিশোরী রাশিয়ায় গ্রেফতার
অসম সিআইডির সাইবার অপরাধ শাখা এ ক্ষেত্রে অতি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। অবশ্য শাখার কর্তাদের মতে, গুগল ট্রেন্ডে ওই খেলাটি সার্চ বা ডাউনলোড করা মানেই খেলা নয়, কারণ, ওই গেমের অ্যাডমিনরা অনেক যাচাইয়ের পরে, মানসিক সমস্যা থাকা বা কোনও কারণে চাপে থাকা ছেলেমেয়েদেরই খেলার অন্তর্ভুক্ত করে। গুয়াহাটিতে সম্প্রতি ব্লু-হোয়েল খেলা কয়েকজনের সন্ধান মিললেও গেমের ৫০তম লেভেল অর্থাৎ উঁচু বাড়ি থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা এখনও সামনে আসেনি। অবশ্য পুলিশ সব স্কুল ও অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে বলেছে। প্রকাশ করা হয়েছে বিশেষ ব্লু-হোয়েল হেল্পলাইন। বলা হয়েছে, বাড়ি বা স্কুলে কারও হাতে কাটা দাগ দেখলে, অস্বাভাবিক আচরণ বা রাত জেগে কম্পিউটারে কাজ করতে দেখলেই হেল্পলাইনে ফোন করতে হবে। অসম পুলিশের বিশেষ শাখার এডিজি পল্লব ভর্টাচার্য জানান, গত কাল অর্থাত্ বুধবার রাজ্য পুলিশের চালু করা হেল্পলাইনের মাধ্যমে ব্লু-হোয়েল খেলায় আসক্ত আরও দু’জনের কথা জানতে পেরেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘ব্লু হোয়েলে ঢোকা যায়, বেরনো যায় না’, সুইসাইড নোটে লিখে আত্মঘাতী ছাত্র
এমন আরও কয়েকজনের কথা বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজের মনোরোগ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। পল্লববাবুর মতে, ওই গেম সন্ধান ও ডাউনলোডে বিশ্বে গুয়াহাটি চতুর্থ স্থানে থাকার ব্যাপারটি যথেষ্ট আশঙ্কার। তিনি বলেন, “গুগল ট্রেন্ড গত এক বছরের তথ্য দিয়েছে। অথচ আমরা কিন্তু এই গেমের ব্যাপারে অতি সম্প্রতি জানতে পেরেছি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে গুয়াহাটির নতুন প্রজন্ম অনেক আগে থেকেই এই বিপজ্জনক খেলার কথা জানত।” তিনি জানান, স্মার্ট ফোন এখন সকলের হাতে। তাই এত চেকিং-ও সম্ভব নয়। তবু বিশেষ শাখা ও পুলিশের বিভিন্ন দফতর, কমিশনার, এসপিদের বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বিশেষ শাখায় এ ব্যাপারে বিশেষ সেল খোলা হচ্ছে। যারা এ নিয়ে নজরদারি চালাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy