জেলে নিজের ব্যারাকের বাইরেটায় অনেক রাত পর্যন্ত পায়চারি করছিলেন গত কাল। অফিসারেরা এক সময়ে বলেন ভেতরে যেতে। কড়া পাহারা রাখা হয়েছিল তাঁর ২ নম্বর সেলের সামনে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঘুম কি এল সলমন খানের?
জোধপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার সূত্রের খবর, গত কাল গোটা রাত খুব অস্থির দেখাচ্ছিল ‘কয়েদি নম্বর ১০৬’-কে। এবং আজকের রাতটাও জেলেই কাটল তাঁর। কারণ, সলমনের জামিনের আর্জির মামলার রায় আগামিকাল পর্যন্ত স্থগিত করেছে জোধপুরের দায়রা আদালত।
কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের দায়ে ৫ বছরের সাজা হওয়ার পরে জেল কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন, কয়েদি হিসেবে কোনও বিশেষ সুবিধে পাবেন না সলমন। যদিও ডিআইজি (কারা) বিক্রম সিংহ গত কাল জানান, সলমনের সেলে একটি কুলার থাকবে। সাধারণ কাঠের একটা খাট আর কম্বল দেওয়া হবে তাঁকে। আজ আবার কেউ কেউ দাবি করেন, মাটিতে পেতে শোয়ার জন্য চারটে কম্বল দেওয়া হয়েছিল সলমনকে। ফলে এ নিয়ে একটু ধন্দ থাকছে। জেল-সূত্র অবশ্য নিশ্চিত ভাবেই জানাচ্ছে যে, ধর্ষণে অভিযুক্ত আসারাম বাপুর ঠিক পাশের সেলটিতেই এখন রয়েছেন ‘বজরঙ্গি ভাইজান’।
গত কাল জেলে পৌঁছনোর পরে সলমনের ডাক্তারি পরীক্ষায় দেখা যায়, তাঁর রক্তচাপ একটু বেশি। ক্রমশ তা কিছুটা স্বাভাবিক হয়। বাড়ি থেকে শুধু জামাকাপড় আনার অনুমতি পেয়েছিলেন। বরাদ্দ হয়েছিল জেলের খাবার। কিন্তু গত রাতে জেলের ডাল-রুটি-তরকারি ফিরিয়ে দেন সলমন। আজ সকালের চায়ের সঙ্গে অন্য বন্দিদের মতোই তাঁকে দেওয়া হয় ছোলা-গুড়। কিন্তু প্রাতরাশের খিচুড়িটা খাননি সলমন। খবরের কাগজ চেয়েছিলেন। একটি হিন্দি কাগজ দেওয়া হয় তাঁকে।
আজ সকাল সাড়ে ১০টায় দায়রা আদালতে সাজা স্থগিতের আর্জি জানানোর কথা ছিল। তার আগে জেলে সলমনের সঙ্গে দেখা করতে আসেন আইনজীবীরা। আসেন ছায়াসঙ্গী দেহরক্ষী শেরা। শুনানির সময়ে আজ আদালতে ছিলেন সলমনের দুই বোন অলবীরা এবং অর্পিতা। দুপুরের দিকে জেলে এসে দাদার সঙ্গে দেখা করে যান তাঁরা। সলমনের দুই ভাই আরবাজ এবং সোহেলও আসতে পারেন বলে খবর।
দিনের সবচেয়ে বড় চমক অবশ্য প্রীতি জিন্টা। আজ সকালে হঠাৎই জোধপুর বিমানবন্দর থেকে বেরোতে দেখা যায় সলমনের একাধিক ছবির নায়িকা প্রীতিকে। মুখের অনেকটাই সাদা টুপিতে আড়াল করা। এর পরে জেলে গিয়ে সলমনের সঙ্গে প্রীতি প্রায় আধ ঘণ্টা কাটান বলে সূত্রের খবর। বিয়ের পরে অনেকটা সময়ই আমেরিকায় থাকেন প্রীতি। এখন আইপিএলের জন্য এ দেশেই ছিলেন কিংস ইলেভেনের মালকিন। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল জানাচ্ছে, সলমনের সাজার খবর শুনেই জোধপুরে গিয়ে ‘বন্ধু’-র সঙ্গে দেখা করবেন বলে ঠিক করে ফেলেছিলেন প্রীতি।
আজ দায়রা আদালতে আবেদন জানানো হলে মামলার সমস্ত কাগজপত্র তলব করেন বিচারক রবীন্দ্রকুমার জোশী। কিন্তু রাতেই তাঁর বদলির নির্দেশ আসে। ফলে আগামিকাল জামিন মামলার ভবিষ্যৎ নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy