কালো টাকা নিয়ে সব তথ্য দেওয়া সম্ভব নয় আদালতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই ঘোষণার পরেই আক্রমণে নেমেছিল কংগ্রেস। এ বার সনিয়া গাঁধীর দলকে পাল্টা চাপে রেখে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির মন্তব্য, বিদেশের ব্যাঙ্কে কাদের কালো টাকা রয়েছে, সেই সব নাম সামনে এলে বিজেপির নয়, আসলে কংগ্রেসেরই অস্বস্তি বাড়বে। একটি সাক্ষাৎকারে জেটলি এ-ও জানিয়ে দিয়েছেন, সরকার খুব তাড়াতাড়ি এই সব নাম প্রকাশ্যে নিয়ে আসবে।
বিদেশি ব্যাঙ্কগুলিতে ভারতীয়দের গচ্ছিত রাখা কালো টাকা ফিরিয়ে আনবেন বলে নির্বাচনী প্রচারের সময়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী। কিন্তু ক’দিন আগে তাঁর সরকারই আদালতে জানিয়ে দেয়, দ্বৈত কর ব্যবস্থা আটকানোর জন্য অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের যে চুক্তি রয়েছে, তার কারণেই সরকারের পক্ষে সব নাম প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এর পরেই মোদীকে নিশানা করেছিলেন কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, যদি নাম প্রকাশ করা সম্ভব না-ই হয়, তা হলে ভোটের প্রচারে বড় বড় কথা বলার কী দরকার ছিল! জবাবে আজ পাল্টা আক্রমণে নেমেছেন জেটলি। জানিয়েছেন, নাম প্রকাশে সরকারের কোনও আপত্তি নেই। তবে আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী (জার্মানির প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন তিনি) এই সব নাম সংবাদমাধ্যমে বলা যাবে না, প্রকাশ করা যাবে আদালতে। ‘‘আর আদালতে যখন নাম আসবে, স্বাভাবিক ভাবে সংবাদমাধ্যমেও চলে যাবে”মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। আর তা হলে কংগ্রেসেরই চাপ বাড়বে বলেই মনে করেন জেটলি। বলেছেন, “খুব তাড়াতাড়ি নামগুলি সবার সামনে এসে যাবে। এতে আমার(বিজেপি) কোনও অস্বস্তি হবে না, ওই সব নামের জন্য কংগ্রেসেরই কিছুটা সমস্যা হবে।”
বিদেশি ব্যাঙ্কে কালো টাকা রয়েছে, এমন ভারতীয়দের নাম সরকার প্রকাশ করবে না বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে কোনও সত্যতা নেই বলেও জেটলি দাবি করেছেন। জানিয়েছেন, “আইন মেনেই সরকার নামগুলি সামনে নিয়ে আসবে।”
কালো টাকা উদ্ধারের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ দল গঠন করেছে। সরকারও সুইৎজারল্যান্ডের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা চালাচ্ছে। তবে গোপনীয়তা আইনের দোহাই দিয়ে সে দেশের তরফে এত দিন যে ভাবে তথ্য সরবরাহে অসহযোগিতা করা হতো, এখন তার থেকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সে দেশের ব্যাঙ্কে টাকা রেখেছেন, এমন একটি প্রাথমিক তালিকা ভারতের হাতে এসেছে। সুইৎজারল্যান্ড জানিয়েছে, যদি কোনও অ্যাকাউন্টের মালিক সম্পর্কে ভারতের আয়কর বিভাগ প্রমাণ সংগ্রহ করে ফেলে, তা হলে তথ্য সরবরাহে তাদের আপত্তি নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy