প্রত্যাশিত ভাবে সুধাংশু দাস কিংবা বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য নয়, তৃতীয় ব্যক্তিকেই করিমগঞ্জ জেলা বিজেপির সভাপতি হিসেবে বেছে নিল প্রদেশ বিজেপি। দলের তরুণ নেতা সুব্রত ভট্টাচার্য হচ্ছেন জেলা বিজেপি সভাপতি। আগামীকাল সোনাইয়ের বিধায়ক আমিনুল ইসলাম লস্কর করিমগঞ্জে এসে আনুষ্ঠানিক ভাবে সুব্রতবাবুর নাম ঘোষণা করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
৩৫ বছরের সুব্রতবাবু জেলার কণিষ্ঠতম জেলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। প্রদেশ নেতৃত্বের নির্দেশে আগামী কাল দলীয় কার্যালয়ে মণ্ডল বিজেপি সভাপতিদের বৈঠক ডেকেছেন বর্তমান সভাপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য। সেই সভাতেই নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা হবে।
করিমগঞ্জ জেলা বিজেপি সভাপতি নির্বাচনকে ঘিরে চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। বিশ্বরূপবাবু পুনরায় জেলা সভাপতি হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তা মেনে নিতে পারেননি জেলা বিজেপির অন্য নেতা তথা উত্তর করিমগঞ্জের চারবারের বিধায়ক (বর্তমানে প্রাক্তন) মিশন রঞ্জন দাস ও তাঁর অনুগামীরা। বিশ্বরূপবাবুর বিরোধী হিসেবে সুধাংশু দাসকে সভাপতি হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা হয়। এই পরিস্থিতিতে প্রদেশ নেতৃত্ব এক সময় লিখিতভাবে মণ্ডল সভাপতিদের কাছ থেকে মতামত সংগ্রহ করেন। সেই ‘মতামত সংগ্রহ’ প্রক্রিয়ায় অবশ্য সুধাংশুবাবুই সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন পান। কিন্তু তাতে আপত্তি জানান পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল। করিমগঞ্জ জেলায় বিজেপির অপর বিধায়ক কৃপানাথ মালাহ অবশ্য লিখিতভাবে উভয়ের পক্ষে-বিপক্ষে মত দিয়েছিলেন। ফলে পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল হয়ে উঠে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। বিশ্বরূপবাবু অবশ্য তাঁর পক্ষে মতামত দেওয়া মণ্ডল সভাপতি, সদস্যদের মধ্যে ৬ জনকে নিয়ে গুয়াহাটিতে যান। কথা বলেন রাজ্য নেতাদের সঙ্গে। কিন্তু তাঁকে পুনরায় সভাপতি করা হলে দলে অসন্তোষ বাড়তে পারে বলে আঁচ করেন রাজ্য নেতৃত্ব। তাই সভাপতি পদের জন্য আবেদন না করা, বয়সে নবীন, জেলা কমিটির সম্পাদক সুব্রত ভট্টচার্যকে সভাপতি হিসেবে বেছে নিল প্রদেশ বিজেপি। সভাপতি হওয়ার বিষয়ে সুব্রতবাবু বলেন, তিনি এখনো দলীয় কাগজপত্র পাননি। তবে আগামী কাল মণ্ডল সভাপতিদের সভা এবং তাঁকে সেখানে বিশেষ ভাবে উপস্থিত থাকার জন্য বর্তমান জেলা সভাপতি নির্দেশ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy