Bison Horn Maria tribe in Chhattisgarh Has A Lesson For Us In Matters Of Love And Marriage dgtl
Tribe
Pre-marital sex: বিয়ের আগেই যৌনতার রীতি, এ দেশেই রয়েছে এমন জনজাতি
বেশভূষায় তথাকথিত ‘সভ্য’ সমাজের ছাপ নেই। কিন্তু একটি বিষয়ে তথাকথিত ‘সভ্য’ এবং ‘শিক্ষিত’ সমাজের থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছেন তাঁরা। মানসিকতায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২১ ১৭:০৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
‘বাইসন হর্ন মারিয়া’ উপজাতি। এই নামেই ডাকা হয় তাঁদের। মাথায় বাইসনের শিং দিয়ে বানানো সজ্জার জন্যই এমন নামকরণ হয়েছে উপজাতির। পুঁথিগত শিক্ষা এই জনগোষ্ঠীর প্রায় কারও নেই। জীবনযাপনও অত্যন্ত সরল। বেশভূষায় তথাকথিত ‘সভ্য’ সমাজের ছাপ নেই। কিন্তু একটি বিষয়ে তথাকথিত ‘সভ্য’ এবং ‘শিক্ষিত’ সমাজের থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছেন তাঁরা। মানসিকতায়।
০২১০
সমাজে নারী এবং পুরুষের সমানাধিকার নিয়ে সরব অনেকেই। কিন্তু প্রকৃত অর্থে নারী-পুরুষকে দাঁড়িপাল্লায় সমান ভাবে রাখতে পারে হাতেগোনা কয়েক জনই। এই জনজাতির সমাজে কিন্তু এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। বছরের পর বছর ধরে পুরুষের সঙ্গেই তাল মিলিয়ে চলেন এই সমাজের নারীরা।
০৩১০
ছত্তীসগঢ়ের আদি জনজাতি গোন্ড। তাদেরই এক অংশের নাম ‘বাইসন-হর্ন মারিয়া’। বাইসনের শিঙের ব্যবহার করার জন্য এক সময় ইংরেজরাই নাকি এই নাম দিয়েছিল। এখন অনেকেই বন মহিষের বদলে হরিণ বা অন্য কোনও প্রাণীর শিং ব্যবহার করেন। কিন্তু নাম একই রয়ে গিয়েছে।
০৪১০
ছত্তীসগঢ়ের জগদলপুরেই মূলত এই জনজাতিদের বাস। নারী-পুরুষের যৌন সম্পর্কের যে সংজ্ঞা এঁরা রচনা করেছেন, তা আজও বিস্মিত করে।
০৫১০
তাঁদের বিশ্বাস, বিয়ের আগে নারী এবং পুরুষের মধ্যে যৌন সম্পর্ক গড়ে ওঠা আবশ্যিক। এর মাধ্যমেই পরবর্তীকালে দাম্পত্যের বন্ধন আরও অটুট হবে, মনে করেন তাঁরা।
০৬১০
পুরুষ বা নারী যদি সেই সম্পর্কে খুশি না হয়ে থাকেন তা হলে যে কোনও সময় তাঁরা সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন বিনা বাধায়। একে অপরের মধ্যে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে খুশি হলে তবেই তাঁদের বিয়ে দেওয়া হয়। আবার বিয়ের পরও যদি কারও অন্য কোনও নারী বা পুরুষকে ভাল লেগে থাকে, সে ক্ষেত্রেও বিনা বাধায় দাম্পত্য ভেঙে বেরিয়ে আসার স্বাধীনতা রয়েছে।
০৭১০
এই উপজাতির মানুষ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, ভালবাসা না থাকলে সেই সম্পর্ক বয়ে নিয়ে চলার কোনও অর্থ নেই। সঙ্গীকে ছেড়ে অন্য সঙ্গী বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা নারী-পুরুষ উভয়েরই সমান রয়েছে। বিয়ের আগে যৌন সম্পর্কে কোনও নারীর সন্তান হলে, তাকেও খুব স্বাভাবিক ভাবেই আপন করে নেয় পুরো পরিবার।
০৮১০
কোনও নারীর স্বামীর মৃত্যু হলে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই তাঁর জন্য পাত্র খোঁজেন। ধুমধাম করে বিধবাবিবাহের আয়োজন হয়। এক বিশেষ ধরনের উৎসব রয়েছে তাঁদের। যেখানে ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত অবস্থায় পুরুষ ও মহিলারা উল্লাসে মাতেন। তাঁরা একে অপরকে নানা বিদ্রুপও করেন। কিন্তু তা কখনও মাত্রা ছাড়িয়ে যায় না। এখানে ‘সভ্যতা’র মাপকাঠি একেবারে অন্য। যৌনতার এক স্বাধীনতা এখনও আছে এই জনজাতির মধ্যে।
০৯১০
১৯৩৮ সালে প্রকাশিত ব্রিটিশ আমলা ডাব্লিউভি গ্রিগসনের একটি বইয়ের সূত্র ধরে গোন্ডদের এই অংশের জনজাতিকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। গ্রিগসনের লেখা ‘দ্য মারিয়া গোন্ডস অফ বস্তার’ দীর্ঘ দিন ধরে বিশ্বের নামী বিশ্ববিদ্যালগুলির পাঠ্যক্রমে রয়েছে।। সেই বইকে ধরেই যাচাই করে দেখা গিয়েছে, এখনও সেই সব নিয়ম মেনেই চলে এই জনজাতি।
১০১০
তবে এই জনজাতির কথা যত ছড়িয়েছে তাঁদের জীবনযাত্রা দেখতে ভিড় বেড়েছে পর্যটকদের। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ক্রমে শহুরে সভ্যতা ও বিদেশি পর্যটকদের ভিড় এই জনজাতির মানুষের মনে অন্য রকম প্রভাব ফেলতে পারে।