প্রতীকী ছবি।
মুজফ্ফরপুরে বেসরকারি হোমের বাড়িটি ভেঙে ফেলবে রাজ্য সরকার। নকশা পাশ না করিয়েই মনোরমা ভবন নামে বাড়িটি তৈরি করেছিলেন হোম-কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত ব্রজেশ ঠাকুর। বেআইনি ভাবে তৈরি হওয়া এই বাড়িটি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপত্তির পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিহার প্রশাসন। আপাতত ঠিক হয়েছে, ১০ ডিসেম্বরের পরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে আবাসিকদের যৌন হেনস্থার কেন্দ্রটি। শহরের সাহু রোডে মা মনোরমাদেবীর নামে এই বাড়িটি তৈরি করে ব্রজেশ সেখান থেকেই চালাচ্ছিলেন সেবা সংঙ্কল্প নামের সংস্থা ও শেল্টার হোম।
বাড়িটি ভেঙে ফেলার আগে চিঠিচাপাটি শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। পুরসভা চিঠি দিয়ে সিবিআইকে বিষয়টি জানিয়েছে। পুর কমিশনার চিঠি লিখে মুজফ্ফরপুরের জেলাশাসককে ভিডিয়োগ্রাফি করিয়ে হোমের জিনিসপত্র সরাতে ও রিসিভার নিয়োগ করতে অনুরোধ করেছেন। সিবিআইয়ের একটি দল আজ বাড়িটি ঘুরে দেখে ও প্রমাণ সংগ্রহ করে। ট্যাঙ্কের জল ফেলে দেখা হয়। তবে সিবিআই তদন্তকারীরা এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়াটি সেরে ফেলতে চাইছেন তাঁরা।
সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া ‘গাইড লাইন’ অনুযায়ী আজই বিশেষ আদালতে চার্জশিট পেশ করার কথা ছিল সিবিআইয়ের। সুত্রের খবর, সিবিআই চার্জশিট তৈরি করে ফেলেছে। এক-দু’দিনের মধ্যেই আদালতে তা জমা করা হবে। এই মামলায় পুলিশ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছিল। পরে সিবিআই আরও ৯ জনকে গ্রেফতার করে। সকলেই বিহারে জেল হেফাজতে রয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রধান অভিযুক্ত ব্রজেশকে পঞ্জাবে পটিয়ালার জেলে পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy