Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

ধানবাদে ধৃত ডাকাত ১০০ কোটির মালিক!

বিহার পুলিশ প্রায় তিন বছর ধরে তার পিছু ধাওয়া করছে। কিন্তু পরিচয় পাল্টাতে ওস্তাদ মাধব বারবার পুলিশকে ফাঁকি দিয়েছে। আপাতত মাধবের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে ১১টি, ওড়িশায় ৮টি, বিহারে ৬টি এবং ঝাড়খণ্ডে ৪টি মামলা ঝুলে রয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পটনা শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:৪৭
Share: Save:

শুধুমাত্র ডাকাতি করেই প্রায় একশো কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক সে! পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এরকমই। তবে নির্দিষ্ট করে জানতে আর সেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে চিঠি লিখল বিহার পুলিশ। নাম পাল্টে বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তীসগঢ় এবং ওড়িশায় প্রায় ৪০টি ব্যাঙ্ক ডাকাতি করেছে গয়ার পহরা গ্রামের মাধব দাস। গতকাল ধানবাদ থেকে ঝাড়খণ্ড পুলিশের সহায়তায় গ্রেফতার করেছে বিহার এসটিএফ। ঠিক কত টাকার সম্পত্তি রয়েছে মাধবের তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সম্পত্তির তালিকা তৈরি করা হবে বলে জানান গয়ার এসএসপি রাজীব মিশ্র।

পুলিশের খাতায়, গয়ার মাধব দাস এর আগে পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ডাকাতির অভিযোগে ধরা পড়ে। জামিন পাওয়ার পরে নাম বদলে ফের ডাকাতি করতে শুরু। কখনও অমরেন্দ্রকুমার মাধব, কখনও সে সুজিতকুমার মিত্তল, কখনও বা মাধব দাস। ব্যাঙ্ক ডাকাতির মামলায় প্রায় ছ’বছর জেল খাটার পরে ২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে জামিন পায় সে। জেলে বসেই গ্যাং তৈরি করে আন্তঃ রাজ্য ডাকাতির দল চালাত মাধব। পুলিশের বক্তব্য, তারই কমিশন বাবদ এত টাকা আয়।

জামিন পাওয়ার পরে বিহারে একটি ডাকাতি করে সে। বিহার পুলিশ প্রায় তিন বছর ধরে তার পিছু ধাওয়া করছে। কিন্তু পরিচয় পাল্টাতে ওস্তাদ মাধব বারবার পুলিশকে ফাঁকি দিয়েছে। আপাতত মাধবের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে ১১টি, ওড়িশায় ৮টি, বিহারে ৬টি এবং ঝাড়খণ্ডে ৪টি মামলা ঝুলে রয়েছে। ওড়িশা ও ছত্তীসগঢ় পুলিশও তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল। গত জুলাইয়ে ওড়িশার আঙ্গুল জেলায় একটি ব্যাঙ্কে ডাকাতি করে মাধব। সেটাই তার শেষ কীর্তি। সেখান থেকে প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা নগদ এবং প্রায় ১৭ কেজি সোনা লুঠ হয়। গতকাল ধানবাদে অভিযান চালিয়ে ১টি ল্যাপটপ, ৯টি মোবাইল, ও সম্পত্তির কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Bank Robbery Dacoit Arrested
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE