Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
National News

ভীমা-কোরেগাঁও: নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

তবে ধৃত ৫ জনের মধ্যে আইনজীবী গ্যাডলিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করে উঠতে পারেনি পুণে পুলিশ। ফলে দিতে পারেনি চার্জশিটও।

মাওবাদীদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে ধৃত আইনজীবী সুরেন্দ্র গ্যাডলিং। -ফাইল ছবি

মাওবাদীদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে ধৃত আইনজীবী সুরেন্দ্র গ্যাডলিং। -ফাইল ছবি

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৪:৫৭
Share: Save:

ভীমা-কোরেগাঁও মামলা নিয়ে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। ৯০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তদন্ত চালিয়ে চার্জশিট দেওয়ার যে আর্জি জানিয়েছিল পুণে পুলিশ, নিম্ন আদালত তাতে সম্মতি জানিয়েছিল। কিন্তু পরে অভিযুক্তরা মুম্বই হাইকোর্টে গেলে আদালত স্থগিতাদেশ দেয় নিম্ন আদালতের রায়ের উপর। সেই স্থগিতাদেশকেই সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার। এর ফলে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুলিশ চার্জশিট দিতে না পারার জন্য অভিযুক্তরা জামিন পাবেন না। তবে সুপ্রিম কোর্ট এও জানিয়েছে, একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর যে ভাবে অভিযুক্তরা জামিনের আর্জি জানান, তা এ ক্ষেত্রেও জানাতে পারবেন।

এই নির্দেশের ফলে ‘পুলিশের গাফিলতি’র জন্য জামিনের আর্জি জানাতে পারবেন না মাওবাদীদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া আইনজীবী সুরেন্দ্র গ্যাডলিং। তবে সাধারণ ভাবে জামিনের আর্জি জানাতে পারবেন। ভীমা-কোরেগাঁওয়ে হিংসাত্মক ঘটনার পর মাওবাদীদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে গত বছরের ৬ জুন পুণে পুলিশ গ্যাডলিংয়ের সঙ্গে গ্রেফতার করেছিল নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সোমা সেন এবং তিন মানবাধিকার কর্মী সুধীর ধাওয়ালে, মহেশ রাউত ও রোনা উইলসনকে। তাঁরা এখন নজরবন্দি।

তবে ধৃত ৫ জনের মধ্যে আইনজীবী গ্যাডলিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করে উঠতে পারেনি পুণে পুলিশ। ফলে দিতে পারেনি চার্জশিটও। তাই পুণে পুলিশ নিম্ন আদালতে আর্জি জানিয়েছিল ওই তদন্ত শেষ করা ও গ্যাডলিংয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার জন্য সময়সীমা বাড়ানো হোক। তাতে সম্মতি দেয় শুনানি আদালত।

সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মুম্বই হাইকোর্টে যান আইনজীবী গ্যাডলিং। তখন মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে একই আর্জি জানানো হয় মুম্বই হাইকোর্টে। কিন্তু গত ২৪ অক্টোবর মুম্বই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। যুক্তি দেয়, নিয়ম অনুযায়ী আর্জি জানানো হয়নি আদালতে। যে আর্জি জানানো উচিত পাবলিক প্রসিকিউটরের, তা জানিয়েছেন ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার।

আরও পড়ুন- ভীমা-কোরেগাঁওয়ে জমায়েত দলিতদের, কড়া সতর্কতা মহারাষ্ট্রে

আরও পড়ুন- ‘আদালতের এক কোণে গিয়ে বসে থাকুন’, নাগেশ্বর রাওকে বলল সুপ্রিম কোর্ট​

হাইকোর্ট অবশ্য এও জানায়, স্থগিতাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানানো যাবে সুপ্রিম কোর্টে। সে জন্য স্থগিতাদেশ দেওয়া হয় ১ নভেম্বর পর্যন্ত।

ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং ১৯৬৭ সালের বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের কয়েকটি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে গ্যাডলিং-সহ ধৃত ৫ জনের বিরুদ্ধে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE