Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

বাসের ই-টিকিট পরিষেবা মিলবে অসমে

বাসযাত্রীদের জন্য ই-টিকিট পরিষেবা চালু করছে অসম রাজ্য পরিবহণ নিগম (এএসটিসি)। দরপত্র চেয়ে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের কথা ভেবেই মূলত এই পদক্ষেপ করেছেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী অজিত সিংহ। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন কাজিরাঙার পর্যটকদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলচর শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৩০
Share: Save:

বাসযাত্রীদের জন্য ই-টিকিট পরিষেবা চালু করছে অসম রাজ্য পরিবহণ নিগম (এএসটিসি)। দরপত্র চেয়ে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের কথা ভেবেই মূলত এই পদক্ষেপ করেছেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী অজিত সিংহ। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন কাজিরাঙার পর্যটকদের।

বাসের টিকিট মিলবে কি না, কোন জায়গা থেকে কখন বাস ছাড়বে— এ সব অনিশ্চয়তায় অনেকের কাজিরাঙা ভ্রমণের ইচ্ছা অপূর্ণই থেকে যায়। আজ শিলচরে মন্ত্রী জানান, সে দিকে নজর রেখেই ই-টিকিট পরিষেবা চালুর সিদ্ধান্ত। এ দিন শিলচরে নিগমের দু’টি প্রকল্পের শিলান্যাস হয়। ৩ কোটি টাকা খরচে বহুতল কার-পার্কিং ও ১ কোটি টাকায় ‘ওয়ার্কশপ বিল্ডিং’ তৈরি করা। পরিবহণ মন্ত্রী জানান, দ্রুত অসমে ই-টিকিট ব্যবস্থা চালু করা হবে। এতে পর্যটকদের যেমন সুবিধা হবে, তেমন রাজ্যেরও লাভ হবে। কারণ পর্যটক সংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধির সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িয়ে থাকে। ই-টিকিট পরিষেবা চালু করা হলে এএসটিসির টিকিট বিক্রিও বেড়ে যাবে। বাস পাওয়ার সমস্যাও হবে না। অজিতবাবু বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগে ১০০টি নতুন বাস কেনা হয়েছে। আরও ৩০০টি বাস আসছে। টিকিট বিক্রি বাড়লে বাসের সংখ্যাও বাড়বে।’’ মন্ত্রীর দাবি, নতুন ১০০টি বাস আসায় নিগমের রোজগার বেড়ে গিয়েছে। ই-টিকিট পরিষেবা চালু হলে নিগমের লাভ অনেকগুণ বাড়বে।

মন্ত্রীর বক্তব্য, উত্তর-পূর্বে অসমেই প্রথম ই-টিকিট ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে। ২০১২ সালে একই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। এএসটিসি-র ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার অনিলচন্দ্র বর্মন জানান, ওই সময় প্রযুক্তি পরিকাঠামো দুর্বল থাকায় সমস্যা হয়। এ বার তাঁরা সব দিক বিবেচনা করে মাঠে নেমেছেন। আগের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে এগিয়ে চলতে সমস্যা হবে না।

শিলচরে রাস্তার প্রস্থ কম। তাই গাড়ি রাস্তার পাশে সহজে কোথাও পার্ক করা যায় না। তা স্বত্তেও রাস্তায় অনেকেই গাড়ি পার্ক করেন। তার জেরে যানজট হয়।

এএসটিসি-র জেনারেল ম্যানেজার কে এন চেতিয়া জানান, বহুতল কার-পার্কিং পরিষেবা চালু হয়ে গেলে যানজটের সমস্যা অনেকটা কমবে। সেখানে একসঙ্গে ৫৩টি গাড়ি রাখার ব্যবস্থা থাকবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE