শিবরাজ সিংহ চৌহান ও কমলনাথ।—ফাইল চিত্র।
মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়ছে কংগ্রেসই। সেই মতো বুধবার সকালে রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেলের সঙ্গে দেখা করলেন কমলনাথ, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং দিগ্বিজয় সিংহ। সেখানে ১২১ জন বিধায়কের সমর্থনের চিঠি জমা দেন তাঁরা। দুপুর ১টা নাগাদ শিবরাজ সিংহ চৌহানের সঙ্গে দেখা করার কথা কমলনাথের। তার পর বিকেল ৪টে নাগাদ নব নির্বাচিত বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করবে দলের পরিষদীয় দল। সেখানে পর্যবেক্ষক হিসাবে হাজির থাকবেন একে অ্যান্টনি। রাহুল গাঁধীর সঙ্গে আলোচনা সেরে তার পরই সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করা হবে।
এ দিকে, এ দিন সকালেই রাজভবনে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে আসেন দু-দু’বার মধ্যপ্রদেশের শাসনভার সামলানো শিবরাজ সিংহ চৌহান। তবে এ বারের পরাজয়ের দায়ভার সম্পূর্ণভাবে নিজের কাঁধে তুলে নেন তিনি। রাজভবনে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। এ বার আমি মুক্ত। হারের দায় সম্পূর্ণভাবে আমার। জয়ের জন্য কমলনাথজি-কে ইতিমধ্যেই অভিনন্দন জানিয়েছি।’’
মধ্যপ্রদেশে জয় নিয়ে শুরু থেকেই নিশ্চিত ছিল বিজেপি। কিন্তু বুধবার ভোটগণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরতে শুরু করে তাদের। গণনা শেষ হতে যদিও রাত পেরিয়ে যায়। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে যায় কংগ্রেস। ২৩০ আসনের বিধানসভায় ১১৪ টি আসনে জয়ী হয় তারা। সেখানে বিজেপির দখলে আসে ১০৯টি আসন। মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি সেখানে দু’টি আসন পেয়েছে। অখিলেশ যাদবের সামজবাদী পার্টির দখলে গিয়েছে ১টি আসন। চূড়ান্ত ফল ঘোষণা হওয়ার পরই কংগ্রেসকে সমর্থন করবে বলে জানিয়ে দেয় দুই দলই।
পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা হতেই সমর্থন মায়াবতীর, সরকার গড়ছে কংগ্রেস, পাশে অখিলেশও
অবশ্য সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি কমলনাথ। নির্বাচনে বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে আসার পর রাতেই রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেলকে সরকার গড়ার প্রস্তাব দিয়ে আসেন তিনি। ১২১ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে জানান। রাত পোহালে তাঁকে সরকার গড়তে আমন্ত্রণ জানান আনন্দীবেন।
আনন্দীবেন পটেলের সঙ্গে কমলনাথরা। ছবি: এএনআই।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে ভোট গণনায় এত দেরির কারণ কি ভিভিপ্যাট?
তবে কংগ্রেসের তরফে কার হাতে মধ্যপ্রদেশের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। প্রায় একাহাতে যেহেতু নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্ব সামলেছেন, তাই দৌড়ে বাকিদের তুলনায় এগিয়ে কমলনাথ। তবে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকেও মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে বলে জল্পনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy