রাহুল গাঁধী ও নরেন্দ্র মোদী।—ফাইল চিত্র।
সেনাবাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে রাহুল বললেন, ভোটে উতরে যেতে সেনাবাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে নিজেদের রাজনৈতিক সম্পত্তিতে পরিণত করেছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীকে ‘সবজান্তা’ও বলেছেন তিনি। শনিবার উদয়পুরে আয়োজিত ব্যবসায়ী সংগঠনের একটি আলোচনাসভায় গিয়েছিলেন। সেখানেই এমন মন্তব্য করেন ।
আর মাত্র ছ’দিন বাদেই বিধানসভা ভোট রাজস্থানে। নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে জাতি বৈষম্যমূলক মন্তব্য করে দিন কয়েক আগেই বিতর্ক বাঁধিয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা সিপি জোশী। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে তাঁকে দিয়ে ক্ষমা পর্যন্ত চাওয়ান রাহুল গাঁধী। এ বার সেই কংগ্রেস সভাপতির গলাতেই আক্রমণাত্মক সুর প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।
ওই আলোচনাসভায় রাহুল বলেন, হিন্দুধর্মের সারকথাই হল চারপাশের মানুষজনকে গুরুত্ব দেওয়া। কারণ, প্রত্যেকেরই জ্ঞান রয়েছে। নিজেকে হিন্দু বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ হিন্দুধর্মের সারকথার মর্মই বোঝেন না।
আরও পড়ুন: রানির গদি ওল্টাতে রানিই ভরসা কংগ্রেসের, ভয়ও তাঁর ‘সম্মোহনী’ ক্ষমতাকেই
আরও পড়ুন: দাপটের ইতিহাসটুকুই সম্বল, পিঙ্ক সিটির কয়েক লাখ বাঙালির প্রায় ভূমিকাই নেই ভোটে
রাহুলের কথায়, ‘‘নিজেকে সবজান্তা মনে করেন মোদী। ভাবেন, সেনাবাহিনীর চেয়েও তিনি বেশি জানেন। কীসে তাদের ভাল, কীসে মন্দ আর কেউ বুঝি তা জানেন না। বিদেশমন্ত্রক, কৃষিমন্ত্রকের ক্ষেত্রেও তাই। কোথায়, কী করতে হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা যেন অন্য কারও নেই। ওঁর মর্জি অনুযায়ী সবকিছু চলবে। আসলে ওঁর ধারণা, দুনিয়ায় যা কিছু আছে, সব ওঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত।’’
সেই প্রসঙ্গেই সেনাবাহিনীর সার্জিকাল স্ট্রাইকের কথাও টেনে আনেন তিনি। বলেন, ‘‘মনমোহন সিংহের আমলেও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানো হয়েছিল। কিন্তু সেনাবাহিনীর কথা মেনে তা গোপন রাখা হয়। এখন তো সেই বিধিনিষেধের তোয়াক্কাই করা হয় না। তাই সেনাবাহিনীর কাজকর্মের মধ্যে ঢুকে পড়তেও বাকি রাখেননি মোদী। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সিদ্ধান্ত শুধুই সেনাবাহিনীর। কিন্তু উনি সেটাকে নিজেদের রাজনৈতিক সম্পত্তিতে পরিণত করেছেন।’’
কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এলেও, এখনও পর্যন্ত তার বাস্তবায়ন তো দূর, মোদী সরকার সেই লক্ষ্যের ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেনি বলে দাবি রাহুলের। পড়শি দেশ চিনের উদাহরণ টেনে রাহুল বলেন, ‘‘ক্ষমতার নয়, দক্ষতার নিরিখে মানুষকে প্রাধান্য দেয় চিন। ভারতে এখন ঠিক তার উল্টোটাই ঘটছে। মসনদে সঠিক লোকজন থাকলে আগামী ১৫-২০ বছরে তাদের ছাপিয়ে যাওয়া ভারতের পক্ষে অসম্ভব হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy